শুক্রবার বইটির প্রকাশনা উৎসবে আলোচকরা বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধা তৌফিক-ই-ইলাহী তার বইয়ে স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোর পাশাপাশি ২০০৭-০৮ এর সেই অনিশ্চিত সময়ের একটি দৃশ্যকল্প রেখেছেন তরুণ প্রজন্মের সামনে।
সাবেক আমলা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী নিজেও বলেছেন, এ বই হল আগামী দিনের তরুণদের কাছে বলা তার ‘মনের কথা’।
জাতীয় প্রেসক্লাবে এই প্রকাশনা উৎসবে অতিথি হয়ে এসেছিলেন আরেক সাবেক আমলা অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
ইংরেজিতে লেখা এই বইয়ের গদ্যশৈলীরও প্রশংসা করেন ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র মুহিত।
“ইটস এ পিস অব গুড লিটারেচার। ভেরি গুড পিস অব লিটারেচার।”
বইয়ের ওপর আলোচনায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, এদেশের তরুণ প্রজন্মের যারা ইংরেজি মাধ্যম বা বিদেশে পড়েছে, তারা ওই সময়ের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে খুব বেশি জানছে না, কারণ সেগুলো বাংলায় লেখা। তারা এ বই থেকে উপকৃত হবে।
স্বাধীনতার সাড়ে চার দশক পরেও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির যে আস্ফালন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে তরুণ প্রজন্মের একটি অংশের যে প্রকাশ বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, সে বিষয়েও বলেন তৌফিক ইমরোজ খালিদী।
তার ভাষায়, ‘চ্যারিয়ট অব লাইফ’ জাতীয় ইতিহাসের অপর যে আখ্যানের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে, তা মোটেও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।
“সেটা ছিল বাংলাদেশের তৃতীয় সেনা শাসন। হ্যাঁ, আমি ওভাবেই বলি। সেনাবাহিনীর তৈরি করা এবং সেনা নিয়ন্ত্রিত ওই সরকারকে আমি কেবল এই কারণে সামরিক শাসন বলি না যে, এর মন্ত্রিপরিষদের একজন শঠ-বাচাল সদস্য একবার বলে ফেলেছিলেন, এটা আসলে বেসামরিক মুখোশে আড়ালে একটি সামরিক সরকার, বরং ওই সরকার আসলে সেভাবেই কাজ করছিল, সব প্রবণতাই ছিল ওই রকমের।
“তারা আইনের শাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে, আদালতের কাজে হস্তক্ষেপ করেছে এবং কোনো নিয়মের প্রতিই ন্যূনতম সম্মান দেখায়নি।”
তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী তার বইয়ে সে বিষয়গুলো নিজের মতো করে তুলে এনেছেন বলে মন্তব্য করেন তৌফিক ইমরোজ খালিদী।
সেই ওয়ান-ইলেভেন
২০০৬ সালের শেষভাগে বিএনপি-জামায়াতে ইসলামী জোট সরকার ক্ষমতা ছাড়ার পর সারাদেশে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতা-হানাহানির আপাত অবসান ঘটে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের জরুরি অবস্থা জারির মধ্যে দিয়ে।
গভীর রাতে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ সুগম করতে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরদিন সেনা বাহিনীর সমর্থন নিয়ে নতুন প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফখরুদ্দীন আহমদ।
বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে ওই তারিখ এবং পরের দুই বছরের ঘটনাপ্রবাহকে মানুষ এখন স্মরণ করে 'ওয়ান ইলেভেন' আ ‘এক-এগারো’ হিসেবে।
ক্ষমতার সেই পালাবদলের পর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড একপ্রকার নিষিদ্ধ থাকে। দুর্নীতির মামলায় বহু রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এক পর্যায়ে গ্রেপ্তার হন শীর্ষ দুই নেত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া। আলোচনায় আসে তাদের বাদ দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিকে নতুন করে সাজানোর কথিত ‘মাইনাস টু থিওরি’।
তবে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি বাড়তে থাকায় শেষ পর্যন্ত দুই নেত্রীকে মুক্তি দিয়েই নির্বাচনের দিকে এগোতে হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর যে নির্বাচন হয়, তাতে দেশে আবার গণতন্ত্র ফেরে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক বলেন, “ওই সময়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা একজন আমলা আমাকে বলেছিলেন, ‘দেশ চালাচ্ছে মেজররা, আমরা সবাই মাইনর। ড. চৌধুরীর ভোগান্তির পেছনেও এমনই একজন মেজরের কলকাঠি নাড়ার বিবরণ এ বইয়ে তিনি আমাদের দিয়েছেন।”
সেনা নিয়ন্ত্রিত সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে সংবাদমাধ্যমের একটি অংশের দুর্ভোগ এবং কিছু সংবাদমাধ্যমের সুবিধা নেওয়ার কথা মনে করিয়ে দেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক।
তিনি বলেন, কিছু মিডিয়া সে সময় প্রকাশ্যেই বলত যে- এটা তাদেরই সরকার।
“সেই সম্পাদকদের একজন এক সভায় তখনকার তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্তাকে বলেছিলেন, ‘এটা আমাদের সরকার। আমরা এই পরিবর্তন এনেছি। আপনাকে অবশ্যই আমাদের কথা শুনতে হবে’। ওই সাহসী সম্পাদক কে ছিলেন- তা জানতে চাইলে সেই সভায় উপস্থিত সম্পাদকদের জিজ্ঞেস করলেই জানা যাবে।”
ওই সময় ‘মেজরদের’ সরবরাহ করা তথ্য যাচাই-বাছাই না করেই কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের বিষয়টিও উঠে আসে তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বক্তব্যে।
ওই স্বীকারোক্তির পর ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় মামলা হয়, যা নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও সংবাদ শিরোনাম হয়।
ওই বিষয়টি সরকার ঠিকভাবে মোকাবেলা করতে পারেনি বলে মনে করেন তৌফিক ইমরোজ খালিদী।
এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “ওই সম্পাদক শুধু পদই টিকিয়ে রাখেননি, একটি আমেরিকান প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সাহসিকতার পুরস্কারও পেয়েছেন।”
ওই সরকারের আমলে উর্দিধারীদের হাতে যখন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা অপদস্থ হচ্ছিলেন সে সময় উপাচার্য হতে সরকারের কাছে অনেক শিক্ষকের জীবনবৃত্তান্ত জমা দেওয়ার কথাও বলেন সাংবাদিক তৌফিক খালিদী।
২০০৭ সালের অগাস্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বর হামলা পরিচালনাকারীদের পক্ষে একদল অধ্যাপকের বিবৃতি দেওয়ার কথাও তিনি বলেন।
“আমরা এ বিষয়ে একটু বেশিই জানি, কারণ আমাদের সাতজন সহকর্মী ওই সব ঘটনার সংবাদ সংগ্রহে নিয়োজিত ছিলেন। কোনো কোনো পত্রিকা তিন দিন পর্যন্ত সে খবর প্রকাশ করেনি।“
কিন্তু পরের সরকারের সময়ে তারা পুরস্কৃত হয়েছে মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী ও উপদেষ্টার সামনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম সম্পাদক বলেন, “আমি আশা করি, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দুইজন সদস্যকে বিব্রত করছি না। আমরা জানি সেই ব্রিগেডিয়ার ‘এ’… কে ছিলেন। গণতান্ত্রিক সরকার সেই ব্রিগেডিয়ার বা তার মতো ব্যক্তির বিষয়ে কিছু করেছে? অবশ্য কিছু করার চেয়ে বলা সহজ।”
তিনি বলেন, “ভুলে যাওয়া এবং ক্ষমা করে দেওয়ার মধ্যে যে পার্থক্য আছে- তা আমাদের বুঝতে হবে। আর পুরস্কৃত করা একেবারেই ভিন্ন বিষয়।”
এক-এগারোর সরকার নিয়ে বলতে গিয়ে তৌফিক খালিদী রাশিচক্রের সঙ্গে তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীর জন্মদিন মিলিয়ে রশিকতার ছলে প্রশ্ন ছুড়ে দেন আরও গভীরে।
তিনি বলেন, ১১ জানুয়ারি যার জন্ম, তার প্রতি এক-এগারোর সরকার বৈরী হল কেন?
“জোতিষশাস্ত্রের এই রহস্যের জবাব এটা হতে পারে যে, ওই সরকারের বীজ রোপণ হয়েছিল অন্য কোনো তারিখে, সম্ভবত অনেক দিন আগেই।”
তিনি বলেন, একজন গবেষককে সঞ্চালক বানিয়ে ডেইলি স্টার, প্রথম আলো ও চ্যানেল আই সেসব অনুষ্ঠান আয়োজন করত।
“এখন এই ‘যোগ্যতার’ সংজ্ঞা কে দেবে? সোভিয়েতের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি লাগবে, নাকি হার্ভার্ডের? তার গুলশান, বারিধারা, বনানীর সমাজে ওঠাবসা থাকতে হবে? নাকি সেই ব্যক্তি যোগ্য, যে তার পুরো জীবন সেই মানুষদের সাথে কাটিয়েছে, যাদের সেবা তার করার কথা।”
‘চ্যারিয়ট অব লাইফ’-এ লেখকের নিজের জীবন সম্পর্কেও অনেক তথ্য উঠে এসেছে মন্তব্য করে তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, তার শৈশব, যৌবন, বেড়ে উঠা, মূল্যবোধ, একটি যৌথ পরিবারের পরিবেশ, তার নিজের পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, ভাইবোন, সরকারি চাকরিতে তার কর্মজীবনের পাশাপাশি একাত্তরের দিনগুলোর কথা বলেছে বইটি।
সুনির্দিষ্ট একটি পাঠক শ্রেণিকে টার্গেট করে এই বই লেখা হয়েছে-এমন ধারণা প্রকাশ করে তিনি বলেন, সে অনুসারেই বিস্তারিত বিবরণ আনা হয়েছে, দেওয়া হয়েছে প্রেক্ষাপট।
বইটির বাংলা সংস্করণ বের হলে তা আরও বেশি সংখ্যক পাঠকের কাছে যাবে এবং তা গুরুত্বপূর্ণ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অস্ত্র হাতে যুদ্ধ জয় করে স্বাধীন দেশে জেল খেটে তৌফিক-ই-ইলাহীর যে মনোবেদনা ও তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে সেটা ‘চ্যারিয়ট অব লাইফ’-এ খুব ভালোভাবে এসেছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী।
“এই দুঃখবোধ তার ছিল। এটি শুধু তার অভিজ্ঞতা নয়, এটি অনেকের অভিজ্ঞতা। দেশের জন্য যারা কাজ করেন বিভিন্ন সময়ে তাদের নির্যাতন-নিপীড়ন করা হয়, জেল-জুলুমের শিকার হতে হয়। তৌফিক-ই-ইলাহী লিখেছেন, যে দেশের জন্য জীবন দিতে গিয়েছিলাম, যে দেশ স্বাধীন করেছিলাম, সে দেশে যেন অপরাধীর মতো জেলে যেতে না হয়।”
বইয়ে ঘটনাক্রমিক বর্ণনা এলেও তা কেবল ঘটনাক্রমে সীমাবদ্ধ না থেকে সেই সময়ের প্রেক্ষাপটও ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছে বলে মনে করেন ইকবাল সোবহান।
“একদিকে তিনি ন্যারেশন দিচ্ছেন তার জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ের- মুক্তিযুদ্ধ কালের, পরবর্তীতে তিনি প্রশাসনে ছিলেন সেই সময়কার অভিজ্ঞতা এবং বর্তমানের শাসন পরিস্থিতি- সবগুলো ঘটনা তিনি লিপিবদ্ধ করেছেন। কিন্তু এমনভাবে করেছেন, যেটি পাঠককে আকৃষ্ট করবে। শুধু আমাদের নয়, যারা ইংরেজি ভাষাভাষী তাদেরও করবে।”
“আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আদালতে যে বিচারকগুলো বসে আছে, উনি বসে আছেন, শেখ হাসিনাও বসে আছেন। কিন্তু বিচারকের ভাবটা এই রকম, তাদের ব্যবহারটা এই রকম যে, মনে হচ্ছে শেখ হাসিনা কোনো দিন বের হতে পারবেন না, ড. তৌফিক-ই-ইলাহী বের হতে পারবেন না। তিনি খুব সুন্দরভাবে বিচারকদের তাচ্ছিল্যের বিষয় বর্ণনা করেছেন।”
জেলের সময়টাতে যুদ্ধজীবনের সংগ্রামী ভূমিকা অন্যভাবে মনে পড়ার কথাও বইয়ে চমৎকারভাবে উঠে এসেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “সময়ের বর্ণনা দিয়েছেন, আকাশ-গাছগাছালির বর্ণনা দিয়েছেন। প্রিজন ভ্যানে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন, যে ব্যক্তি দেশের জন্য মুক্তিসংগ্রাম করেছেন সেই ব্যক্তি প্রিজন ভ্যানের ভেতরে, আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা হাঁটছে, তারা জানে না- মুক্তিযোদ্ধা ভ্যানের ভেতরে আছেন।”
একাত্তর টিভির বার্তা পরিচালক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, “এক-এগারোর সময়ে সুশীল সমাজের সমন্বয়ে সামরিক বাহিনীর যে শাসন, সেটা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল ঘটনা ছিল। যেটা এই বইয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
“জরুরি অবস্থায় যে সরকার এসেছিল ২০০৭ এ- সিভিল সোসাইটি পিপল ব্যাকড বাই দি আর্মি। পৃথিবীর ইতিহাসে এই ধরনের কম্বিনেশনের সরকার ছিল না, যেখানে মিডিয়া পিপল ওয়্যার ইনভলভড। এই সময়টা আমাদের রাজনীতিকে কীভাবে চালিত করেছে তিনি সেটার বর্ণনা দিয়েছেন। ড. চৌধুরী নিজে যুদ্ধ করেছেন এবং পরে কারারুদ্ধ হয়েছেন।”
তিনি বলেন, “এখানকার বেস্ট পার্ট আমি মনে করি, তার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি থাকার সময়টা। এক ধরনের মনের গভীরতা থেকে তার যে বর্ণনা, মানুষ হিসাবে তার আবেগ, মানবিক বোধ সেটা প্রকাশ পেয়েছে। জেলজীবনের বিভিন্ন সেবকেরা তার কাছের মানুষ হয়ে গিয়েছিল।”
গঠনগত দিক দিয়ে এই বইয়ে জীবনবোধের ধ্রুপদী দৃষ্টিকোণ স্থান পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি হায়াৎ সাইফ।
তিনি বলেন, “আমার কাছে মনে হয়েছে, ক্লাসিক্যাল কাইন্ড অব মাস্টারপিস। গতিময় ভাষায় লেখা, যেটা পাঠককে আমূল আকৃষ্ট করে রাখে। এবং সেটি বইটির প্রথম থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত থাকে।”
অন্যদের মধ্যে সাবেক কূটনীতিক ও সচিব মহিউদ্দিন আহমেদ, গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ খালেদ শামস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।