লাশ আসতে পারে মঙ্গলবার

কাঠমান্ডুতে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে নিহতদের লাশ মঙ্গলবার নাগাদ দেশে ফিরতে পারে আশা করা হচ্ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 March 2018, 04:10 PM
Updated : 16 March 2018, 04:10 PM

নিহত ৪৯ জনের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে বলে নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি অসিত বরণ সরকার জানিয়েছেন।

তিনি শুক্রবার সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শনিবার থেকে লাশ শনাক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

নিহতদের স্বজনদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য লাশ শনাক্তকরণে কাজে আসবে বলে মনে করছেন তিনি।

সোমবার কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ওই দুর্ঘটনার পর নেপাল ঘুরে আসা বিমানমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল জানিয়েছেন, নিহত বাংলাদেশিদের মধ্যে আটজনের লাশ দেখে এসেছেন তিনি।

“তাদের শনাক্ত করা গিয়েছিল। বাকি ১৮ জনকে দেখতে পারিনি, কেননা পুড়ে যাওয়ায় তাদের চেনা যাচ্ছিল না।”

মন্ত্রী বলেন, অধিকাংশেরই শরীর পুড়ে যাওয়ায় শনাক্ত করা যাচ্ছে না। সে কারণে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে শনাক্ত করতে গিয়ে সময় লাগছে।

এ বিষয়ে দূতাবাস কর্মকর্তা অসিত বলছেন, নিহতদের ১৫ থেকে ২০ শতাংশের ক্ষেত্রে চিহ্নিত করার জন্য ডিএনএ টেস্টের প্রয়োজন হবে বলে তারা মনে করছেন।

স্বজনদের দেওয়া তথ্য যেমন শারীরিক বর্ণনা, পোশাকের বর্ণনাসহ আরও দৃশ্যমান শনাক্তকরণ চিহ্নগুলো তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা আশা করছি, অধিকাংশকেই খুব সহজেই শনাক্ত করা সম্ভব হবে।”

“তবে শনিবার শনাক্তকরণ শুরু হলেও তা শেষ হতে মঙ্গলবার পর্যন্ত লাগবে।”

দুর্ঘটনার পরদিনই হতাহতদের স্বজনদের নেপালে নিয়েছিল ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষ। তাদের মধ্যে পলাশ রায় ও বিলকিস আরা নামের নিহত দুজনের স্বজনদের না পাওয়ার কথা দূতাবাস জানানোর পর শুক্রবার বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে কাঠমান্ডু পাঠানো হয়েছে।

আহতদের মধ্যে চারজন এরইমধ্যে দেশে ফিরেছেন। একজন গেছেন সিঙ্গাপুরে।বাকি পাঁচজনের মধ্যে তিনজনকে রোববার দেশে আনা হবে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক এএইচএম এনায়েত হোসেন জানিয়েছেন।

এ দুর্ঘটনায় হতাহতদের আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বিমানমন্ত্রী শাহজাহান কামাল।

সন্ধ্যায়  ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন শাহরিন আহমেদ, মেহেদী হাসান ও তার স্ত্রী সাঈদা কামরুন্নাহার স্বর্ণা এবং মেহেদীর ফুপাত ভাইয়ের স্ত্রী আলমুন নাহার অ্যানি দেখার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তাদের সঙ্গে কথাও বলেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত দুর্ঘটনার কারণ উদ্ঘাটন করা হবে।

“আর তদন্তের পর কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

নেপালের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সেনাপ্রধানের প্রশংসা করে বিমানমন্ত্রী বলেন, “তারা যথেষ্ট আন্তরিকতা দেখিয়েছেন। নেপালের প্রধানমন্ত্রী আমাকে জানিয়েছেন, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত তারাও করছেন।”