নেপাল গেলেন পিয়াস ও বিলকিসের স্বজনরা

কাঠমাণ্ডুতে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে নিহত পিয়াস রায় ও বিলকিস আরার লাশ শনাক্তে নেপাল গেছেন তাদের স্বজনরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 March 2018, 03:11 PM
Updated : 16 March 2018, 03:16 PM

নিহত এই দুই বাংলাদেশির স্বজনদের খোঁজা হচ্ছে বলে বাংলাদেশ দূতাবাস জানানোর পর দুর্ঘটনার পাঁচ দিন পর শুক্রবার সেখানে গেলেন তারা।

বিকালে ইউএস-বাংলার জনসংযোগ কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শুক্রবারই বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে নিহত পিয়াস রায়ের বাবা এবং বিলকিসের স্বামী ও এক ভাই নেপাল গেছেন।

এদের মধ্যে পিয়াসের বাবার পাসপোর্টজনিত জটিলতা ছিল বলে জানান কামরুল। তবে বিলকিসের স্বজনরা কেন বিলম্বে গেলেন সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি তিনি।

এই দুজনের স্বজনদের খোঁজা হচ্ছে জানিয়ে সন্ধ্যায় নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি অসিত বরণ সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুর্ঘটনার পর এই দুইজনের পরিবারের কেউ ইউএস-বাংলার সঙ্গে যোগাযোগ করে নাই। আমরাও পরে এদের খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা চাচ্ছি, এই দুইজনের স্বজনরা যেন যোগাযোগ করে।”

তিনি জানান, এখন পর্যন্ত নিহত ৪৯ জনের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। শনিবার থেকে লাশ শনাক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

“স্বজনরা নিহতদের চিহ্নিত করতে সহায়ক হবে এমন নানা তথ্য দিচ্ছে। যেমন শারীরিক বর্ণনা, পোশাকের বর্ণনাসহ আরও দৃশ্যমান শনাক্তকরণ চিহ্নগুলো তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে। আমরা আশা করছি, অধিকাংশই খুব সহজেই শনাক্ত করা সম্ভব হবে। ১৫ থেকে ২০ শতাংশের ক্ষেত্রে চিহ্নিত করার জন্য ডিএনএ টেস্টের প্রয়োজন হবে।”

আহতদের মধ্যে চারজন এরমধ্যে দেশে ফিরেছেন। একজন গেছেন সিঙ্গাপুরে।

অসিত বরণ বলেন, “তিনজনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। যে কোনো দিন বাংলাদেশে পাঠানো হতে পারে।”

নিহতদের লাশ মঙ্গলবার থেকে বাংলাদেশে পাঠানো যাবে বলে আশা করছেন দূতাবাসের এই কর্মকর্তা।

“শনিবার শনাক্তকরণ শুরু হলেও তা শেষ হতে মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় লাগবে,” বলেন তিনি।