শুক্রবার দুপুরে শাহরিনকে দেখার পর বার্ন ইউনিটের কনফারেন্স রুমে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আহতদের চিকিৎসার ব্যাপারে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার। কোনোভাবেই যেন চিকিৎসার ঘাটতি না হয়, সেদিকে নজর রাখছি রাখা হচ্ছে।
“গতকালই আটজনের একটি টিম আমরা নেপালে পাঠিয়েছি। সেখানে বার্ন ও আর্থোপেডিক ইউনিটের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা রয়েছেন। যখনই কোনো রোগী সেখান থেকে দেশে আসবে, আমরা চিকিৎসা দিতে প্রস্তুত আছি। আমাদের কেবিনও রেডি রাখা আছে।”
শাহরিনসহ আহতদের দ্রুত আরোগ্যের স্বার্থে হাসপাতালে অতিরিক্ত ভিড় না করতে অনুরোধ জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, “শাহরিনের চিকিৎসা চলছে। আল্লাহর রহমতে ও দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গিয়েছে। আপনাদের মাধ্যমে সবার কাছে একটা অনুরোধ জানাচ্ছি, যারা আহতদের খোঁজ খবর নিতে আসছে, তারা বাইরে থেকে খোঁজ খবর নেবেন। অতিরিক্ত দর্শনার্থীর কারণে স্বজনরা যেমন বিরক্ত হন তেমনি চিকিৎসকদেরও সমস্যা হয়।”
“আমাদের যে টিম কাঠমান্ডু গিয়েছে, তারা সেখানে কাজ শুরু করে দিয়েছে। আমরা তাদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি।”
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক এএইচএম এনায়েত হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নেপালে যে আটজন চিকিৎসা নিচ্ছেন তার মধ্যে দুজনের অবস্থা কিছুটা ক্রিটিক্যাল। বাকি ছয়জনের মধ্যে তিনজন আজই দেশে আসছেন। আমি তাদের সাথে যোগাযোগ রাখছি। তাদের সাজেস্ট করব এখানে (ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিট) আসার জন্য। বাকি তিনজনকেও দেশে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ৪৯ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে চার ক্রুসহ ২৬ জন বাংলাদেশি।
দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া দশ বাংলাদেশির মধ্যে শাহরিন আহমেদকেই বৃহস্পতিবার প্রথম দেশে নিয়ে আসা হয়। তার শরীরে পোড়ার ক্ষত ও পায়ের হাড়ে চিড় থাকলেও তিনি আশঙ্কামুক্ত বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।