সোমবার ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়ে যাত্রীদের সঙ্গে চার ক্রুও নিহত হন, তাদেরই একজন নাবিলা বলে এয়ারলাইন্সটির জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তা শেখ মো. সাদী শিশির জানিয়েছেন।
নাবিলার মৃত্যুর খবর পেয়ে তার স্বামীর দুই ভাই বেল্লাল হোসেন ও ইমাম হোসেন কাঠমান্ডু গেছেন। তবে তারা এখনও নাবিলার মরদেহ দেখতে পায়নি বলে নাবিলার শাশুড়ি বিবি হাজেরা জানিয়েছেন।
তিনি বুধবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নাবিলা কোন ধরনের কাপড় পরে ছিলেন, তার জুতার মাপ এবং শরীরে কোনো জন্ম দাগ রয়েছে কি না সে বিষয়ে ছেলেরা জানতে চেয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার ছোট মামা বেল্লাল কাঠমুন্ডুর বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজ করেও মামীর কোনো খোঁজ পায়নি। সেখানকার মর্গেও তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
“এদিকে ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষ ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করার বিষয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।সে অনুযায়ী মামীর (নাবিলা) মা নীলা জামানের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করার পক্রিয়া চলছে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএস-বাংলার জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কামরুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নিহতদের লাশ শনাক্তের জন্য ডিএনএ মিলিয়ে দেখার বিষয়ে নেপালি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
“বিষয়টি নিয়ে নাবিলার পরিবারের সঙ্গেও কেউ আলোচনা করতে পারে।”
ওই দুর্ঘটনায় পুড়ে যাওয়ার কারণে কারও কারও মরদেহ শনাক্ত করতে ডিএনএ মেলানোর দরকার হতে পারে বলে কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস জানিয়েছেন।
বুধবার নেপালের একটি হাসপাতালে দুর্ঘটনায় হতাহতদের খোঁজ নিতে এসে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ১৮ জনের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে।”
ওই দুর্ঘটনায় নিহত ৪৯ জনের মধ্যে চার ক্রুসহ ২৬ জন বাংলাদেশি বলে বাংলাদেশ দূতাবাসের তথ্য।
নিহতদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য পুলিশের একটি দলকে নেপাল পাঠানো হচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান জানিয়েছেন।
এদিকে নাবিলার স্বামী আনান আহমেদ মাদক মামলায় কারাগারে আছেন বলে উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি আলী হোসেন মঙ্গলবার জানালেও পিঙ্কি সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার এই মামাও কাঠমান্ডু যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি আলী হোসেন বলেন, “নাবিলার স্বামী হয়ত জামিন পেয়েছেন। তবে এ বিষয়ে তারা কোনো তথ্য দেয়নি।”