সোমবার দুপুরে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ওই দুর্ঘটনায় ফ্লাইট বিএস ২১১ এর ৭১ আরোহীর মধ্যে অন্তত ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে; উদ্ধার কাজ এখনো চলছে।
সোমবার যখন ওই দুর্ঘটনা ঘটে, প্রধানমন্ত্রী তখন চার দিনের সফরে সিঙ্গাপুরে। তিনি হতাহতের খবর পেয়ে শোক প্রকাশ করেন এবং নেপালের প্রধানমন্ত্রী খড়গা প্রসাদ শর্মা অলির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন।
পরে সিঙ্গাপুর থেকে এক ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নেপাল সরকারকে সব রকম সহযোগিতার কথা বলেন।
শুরুতেই শোক প্রকাশ করে তিনি বলেন, “এই ঘটনায় আমি অত্যন্ত মর্মাহত। দুর্ঘটনার পরপরই নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “সেখানে আমাদের বাংলাদেশের যাত্রী ছিলেন, নেপালের যাত্রী ছিলেন। চায়না ও মালদ্বীপসহ কয়েকটা দেশের যাত্রী ছিলেন।”
তিনি জানান, আহতদের নেপালের পাঁচটি হসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তার কাছেই সেনা ছাউনি। ফলে নেপালের সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতও সেখানে ছুটে যান।
বাংলাদেশেও তিন বাহিনীর প্রধান থেকে শুরু করে সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপ্যাল স্টাফ অফিসার এবং প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সকল কর্মকর্তা এই ব্যাপারে যোগাযোগ রাখছেন। কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সে বিষয়ে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।
“যা যা প্রয়োজনীয় আমরা তা করব। নেপালের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেও আমি এটা বলেছি। উদ্ধার কাজ বা চিকিৎসার ব্যাপারে যা যা সহযোগিতা দরকার বাংলাদেশ সব সময় পাশে আছে… আমরা থাকব।”
শেখ হাসিনা বলেন, উড়োজাহাজে আগুন লেগে অনেকের দেহ পুড়ে যাওয়ায় শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
“যারা এখনো জীবিত আছে, তাদের চিকিৎসাসহ যা যা প্রয়োজনীয় সব করতে আমরা প্রস্তুত আছি। নেপালের প্রধানমন্ত্রীকে আমরা জানিয়েছি, তাদের যে কোনো ধরনের সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত আছে। সব রকম সহযোগিতা আমরা করব।”