শনিবার বিকালে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ সমাবেশ হয়।
সমাবেশ থেকে বক্তারা ধর্ম অবমাননার দায়ে সাংবাদিক আনিস আলমগীরের গ্রেপ্তার, জাফর ইকবালকে হত্যাচেষ্টার বিচার, চাকমা রাণীকে লাঞ্ছনাকারীর বিচার, পাবনার পুরোহিত হত্যার বিচার, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপসনালয়ে হামলা বন্ধ, সংখ্যালঘুদের হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন বন্ধেরও দাবি জানান।
সমাবেশে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত বলেন, “জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে নারী লাঞ্ছনা করা হচ্ছে, এই বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যারাই জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে অপরাধ করবে তাদের এই অপব্যবহারকে রুখে দিতে হবে।
“সাংবাদিক আনিস আলমগীর হিন্দুদের দেবী স্বরসতীকে যৌনতার প্রতীক বলেছেন। তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে মামলা হয়েছে। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।”
বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং বলেন, “একটি রাষ্ট্র কতটুকু অসাম্প্রদায়িক, কতটুকু মানবিক তা সংখ্যালঘুদের সাথে রাষ্ট্র কেমন আচরণ করছে তার ওপর নির্ভর করে। আমরা অবিলম্বে আমাদের এই সাত দফার বাস্তবায়ন চাই।”
বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দ প্রিয় বলেন, “সারাদেশেই সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে। রামুতে ২৬টি বৌদ্ধ বিহার জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। প্রশাসন ব্যবস্থা নেওয়ায় এটা সাময়িকভাবে আর হচ্ছে না। তবে বারবার তা করার চেষ্টা চলছে।”
সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি, বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদ, মাইনোরিটি রাইটস ফোরাম, বাংলাদেশ মাইনোরিটিজ সংগ্রাম পরিষদের নেতারা।
সমাবেশ শেষে শাহবাগ থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত মশাল মিছিল হয়।