সোমবার ইসির সহকারী সচিব মো. মোশাররফ হোসেন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠিটি কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়।
চিঠিতে জানানো হয়, কক্সবাজার সদর উপজেলার পোকখালী ইউনিয়ন পরিষদে গত বছর ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের সময় ৩০ অক্টোবর রেজিস্ট্রেশন চলাকালে লাইনে অপেক্ষামানদের থেকে মিয়ানমারের দুজন নাগরিককে শনাক্ত করা হয়।
কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন অফিসারের স্বাক্ষর জাল করে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ভোটার হওয়ার ফরম সরবরাহ করে পূর্ব গোমাতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুর রহমান রেজিস্ট্রেশনে সহায়তা করেন বলে ইসি জানতে পেরেছে।
ইসির সহকারী সচিব মো. মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর সোমবার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করে মামলার বিবরণী ইসি সচিবালয়কে অবহিত করতে বলা হয়।
মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ভোটার হলে অনধিক ছয়মাস কারাদণ্ড বা অনধিক দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ৩০ অক্টোবর রোহিঙ্গা দুজনকে নিবন্ধন কেন্দ্রে শনাক্তের পর আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের ভোটার করতে সহায়তাকারী হিসেবে শামসুর রহমানের নাম বলেন।