প্রতিবেশীরাও তাকে মাদ্রাসাছাত্র বললেও বিষয়টি নিশ্চিত করেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শনিবার বিকালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠান চলাকালে জাফর ইকবালের ওপর হামলার পর এই তরুণকে ধরে ফেলে উপস্থিত শিক্ষার্থী ও পুলিশ সদস্যরা। শিক্ষার্থীরা পিটুনি দেওয়ার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন পুলিশ-র্যাব কর্মকর্তারা। পরে তাকে র্যাব হেফাজতে নেওয়া হয়।
ওই এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ফয়জুলদের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদল কালিয়াকাপন এলাকায়। তার বাবা মাওলানা আতিকুর রহমান সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের পার্শ্ববর্তী টুকেরবাজারে একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন।ফয়জুল সবার কাছে নিজেকে মাদ্রাসা ছাত্র বলে পরিচয় দিতেন।
সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়া ও জালালাবাদ থানার ওসি শফিকুল ইসলামও ক্যাম্পাস সংলগ্ন শেখপাড়ায় ফয়জুলাদের বাসার কথা জানান।
পরে গভীর রাতে র্যাব-৯ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদে ওই তরুণ বলেছে, জাফর ইকবাল ইসলামের শত্রু, তাই তাকে হত্যার উদ্দেশে হামলা করেছি।”
ফয়জুল নিজের পরিচয় নিয়ে ‘বিভ্রান্তিকর’ দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “সে বলেছে, সে সিলেট আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্র। তবে আমরা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার সত্যতা পাইনি।”
জিজ্ঞাসাবাদে ফয়জুল একাই হামলা চালানোর কথা বলেছে জানান র্যাব-৯ এর অধিনায়ক। তবে হামলার সময় আরও এক বা একাধিক ব্যক্তি ছিল বলে তাদের সন্দেহ।
হামলার পরপর এক যুবক মটরসাইকেলে করে সেখান থেকে চলে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন।
পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সে একটি কম্পিউটারের দোকানে কাজ করে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে আরও খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।”
পুলিশ ও র্যাবের একটি দল রাতে শেখপাড়ায় ফয়জুলদের বাসায় অভিযানে যায়। সেখান থেকে ফজলুর রহমান নামে তার এক মামাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জালালাবাদের ওসি শফিকুল জানান।