মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব, সেনা সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান

সীমান্তে হঠাৎ মিয়ানমারের অতিরিক্ত সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েনের প্রেক্ষাপটে ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত লিউন উকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 March 2018, 02:33 PM
Updated : 1 March 2018, 03:19 PM

বৃহস্পতিবার বিকালে তলবে হাজির হলে রাষ্ট্রদূতের কাছে প্রতিবাদলিপি হস্তান্তরের পাশাপাশি বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে সামরিক উপস্থিতি সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে বলে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব এম খুরশেদ আলম জানিয়েছেন।

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের ওপারে সকালে মিয়ানমারের বেশ কিছু সামরিক পিকআপ, ট্রাক ও ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিপুল সংখ্যক বিজিপি সদস্য শূন্য রেখা থেকে দেড়শ গজ ভেতরে অবস্থান নেয়।

কাঁটাতারের বেড়ার কাছে অবস্থান নিয়ে টানা কয়েক ঘণ্টা মাইকিং করে তারা রোহিঙ্গাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।

রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে পালিয়ে আসা অন্তত ১৭ হাজার রোহিঙ্গা বেশ কিছু দিন ধরে বান্দরবান সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে আশ্রয় নিয়ে আছে। তাদের মধ্যে প্রায় সাত হাজার রোহিঙ্গা রয়েছে তুমব্রু সীমান্তের শূন্য রেখায়। গেল মাসে ঢাকায় দুই দেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের সভায় শূন্য রেখায় অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার রাজি হয়।

ওই প্রক্রিয়া এখনও শুরুর অপেক্ষায়, এর মধ্যে মিয়ানমারের সৈন্যদের এই তৎপরতাকে তাদের বাংলাদেশে ‘পুশ ইনের’ চেষ্টা হিসেবে দেখছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি।

এই পরিস্থিতিতে বিজিবিও সীমান্তে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপিকে পতাকা বৈঠকের বার্তাও পাঠিয়েছে তারা।

সীমান্তে সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর পক্ষে মিয়ানমার যে যুক্তি দিয়েছে তা গ্রহণযোগ্য মনে করছেন না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘জিরো লাইনে’ অবস্থান নিয়ে থাকা রোহিঙ্গারা যাতে আর বাংলাদেশে না ঢোকে সেজন্যই তারা নিরাপত্তা বাড়িয়েছে বলে মিয়ানমার দাবি করেছে।

এ প্রসঙ্গে মিয়ানমারের অতীত কর্মকাণ্ড উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তারা যা বলেন, তা তারা করেন না। আজকে তারা যে এক্সকিউজ দিতে চাচ্ছেন, তা ভুল দিচ্ছেন। এগুলো আমরা দেখেছি। বিজিবি অত্যন্ত সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। আমাদের এলাকায় তাদের ঢুকতে দেওয়া হবে না।”