এনআইডি প্রকল্পের ৭২ জনের  ‘চাকরি ছাড়ার’ হুমকি

পদের নাম, বেতন গ্রেড পরিবর্তন ও চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের একটি প্রকল্পের ৭২ কর্মী আর চাকরিতে না থাকার হুমকি দিয়েছেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Feb 2018, 01:57 PM
Updated : 26 Feb 2018, 01:57 PM

‘আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং একসেস টু সার্ভিসেস’ (আইডিইএ) প্রকল্পে টেকনিক্যাল এক্সপার্ট’ ও টেকনিক্যাল সাপোর্ট পদে কর্মরত ওই ৭২ কর্মী সোমবার জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালকের কাছে এক আবেদন পাঠিয়ে বলেছেন, এ মাসের মধ্যে তাদের দাবি পূরণ করতে না পারলে যেন ওই আবেদনকেই তাদের ‘ইস্তফাপত্র’ হিসেবে গণ্য করা হয়।

২০০৭-২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরুর সময় থেকে এই কর্মীরা আইডিইএ প্রকল্পে কাজ করে আসছেন। বর্তমানে চলমান থাকা স্মার্টকার্ড বিতরণ কাজেও তাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে।

তাদের দাবিগুলো হল- টেকনিক্যাল এক্সপার্টদের পদের নাম পরিবর্তন করে ‘সহকারী প্রোগ্রামার’ এবং টেকনিক্যাল সাপোর্টদের ক্ষেত্রে ‘ডেটা এন্ট্রি সুপারভাইজার’ করতে হবে।  বেতন গ্রেড পরিবর্তন করে যথাক্রমে সরকারি বেতন কাঠামোর নবম ও দশম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ করতে হবে। ফেব্রুয়ারিতে প্রকল্পের মেয়াদ নবায়নের সময় তাদের চাকরি রাজস্ব খাতে নিতে হবে।

এসব দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে এনআইডি উইংয়ের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওই কর্মীরা ৮ থেকে ১০ বছর ধরে কমিশনের এ প্রকল্পে কাজ করছেন; তাদের অভিজ্ঞতাও রয়েছে।

“তাদের বিষয়ে যৌক্তিক ভাবনা রয়েছে ইসির। কিন্ত যেসব দাবি তারা করছেন, তা ন্যায্য কিনা- আমরা দেখছি। দাবির তো আর শেষ থাকে না; সব কিছু মেনেও নেওয়া যাবে না। কমিশনের ভাবমূর্তি ও সরকারি বিধান বিবেচনায় নিয়ে তাদের জন্য কী করা যায়, কীভাবে তা সমাধান করা যায়- সে প্রচেষ্টা নেওয়া হচ্ছে।”

ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানান, প্রকল্পের কর্মীদের রাজস্ব খাতে আনতে গেলে বয়স ও শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করতে হবে, যা নিয়ে আপত্তি আছে ইসি সচিবালয়ের কর্মীদের মধ্যে।

দাবি পূরণ না হলে এবং প্রকল্পের ওই ৭২ কর্মী চাকরি ছেড়ে দিলে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা নিয়ে কোনো ধরনের শঙ্কা তৈরি হবে কি না- এ প্রশ্নে সাইদুল ইসলাম বলেন, “সার্ভারের কোনো অসুবিধা হবে না। তারা যেসব দাবি করছে তাও সক্রিয়ভাবে দেখা হবে। যৌক্তিকভাবে সবকিছু বিবেচনা করা হবে।”