সাবেক মন্ত্রী মতিন খসরু রোববার সংসদে বলেছেন, “প্রশ্ন ফাঁস আগে হয়েছে, এখনও হচ্ছে- এটা কোনো যুক্তি হতে পারে না। আগে হয়েছে- এটা কি কোনো যুক্তি হল? আগে মানুষ অন্যায় করেছে, চুরি করেছে বলে আমরাও করব?”
ধারাবাহিকভাবে পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে সমালোচনার মধ্যে আছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এজন্য তার পদত্যাগের দাবিও উঠেছে।
এই প্রেক্ষাপটে গেল সপ্তাহে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করার সুযোগ পেয়ে এক সাংবাদিক জানতে চান, প্রশ্ন ফাঁস রোধে যারা ব্যর্থ হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না।
তার জবাব দিতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, “দেখুন প্রশ্নপত্র ফাঁস, এটা কোনো নতুন কিছু না, এটা কিন্তু সব সময় যুগ যুগ ধরেই চলে এবং কখনও প্রচার হয়, কখনও প্রচার হয় না, এটা হল বাস্তবতা।”
সংসদ সদস্য মতিন খসরু শিক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, “আমাদের সাহায্য নেন। সবাইকে ডাকেন। কেন প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ করা যাবে না? প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে- আর কোনো দিন এটা শুনতে চাই না।
“শেখ হাসিনার এত অর্জনকে দু-একটি অপকর্ম দিয়ে ম্লান করে দেবেন এটা হতে পারে না। যারা পারেন না হি মাস্ট রিজাইন। আওয়ামী লীগে লোকের অভাব নেই। আপনাদের দুই-একজনের ব্যর্থতার দায় আওয়ামী লীগ নেবে না। শেখ হাসিনা নেবে না। আমরা নেব না।”
রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় সাবেক আইনমন্ত্রী মতিন খসরু বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড নিয়েও কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আজকে বাংলাদেশে দুর্নীতি করে অহঙ্কার করা হয়। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার দুর্নীতি প্রমাণিত হয়েছে।
“এতিমের টাকা মেরে খেয়েছেন। লজ্জা হয় না! আবার বড় বড় কথা বলে। এখানে শেখ হাসিনার কোনো হাত নেই। কোর্ট তাকে শাস্তি দিয়েছে। এতে তারা চিৎকার করছে। আদালত স্বাধীন। সেখানে তো আমাদের কোনো হাত নেই।”