মাদকবিরোধী ‘তথ্য অভিযানে’ নামছে তথ্য মন্ত্রণালয়

মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করতে প্রচারণায় নামছে তথ্য মন্ত্রণালয়।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Feb 2018, 11:06 AM
Updated : 25 Feb 2018, 11:06 AM

রোববার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

মাদক নির্মূলে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্ব দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “মাদক নির্মূলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে তথ্যের মাধ্যমে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারি।”

প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০১১ সালে মাদক সংক্রান্ত মামলা হয়েছিল ৩৭ হাজার ৩৯৫টি এবং আসামি ৪৭ হাজার ৪০৩ জন এবং ২০১৭ সালে মামলার সংখ্যা ১ লাখ ছয় হাজার ৫৩৬ জন এবং আসামি এক লাখ ৩২ হাজার ৮৮৩ জন।

তারানা হালিম বলেন, “এই তথ্যগুলোই যদি বর্ডার এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় দেই তাহলে মানুষ সচেতন হবে যে মাদক বিক্রি করা, বিক্রি করা এবং কোনোভাবে সহযোগিতা করা দণ্ডনীয় অপরাধ, কতজন শাস্তি পাচ্ছে, কতগুলো বিচারাধীন আছে।

“আমরা নাম দিয়েছি, মাদকের বিরুদ্ধে তথ্য অভিযান, আমরা তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে তথ্য অভিযানই করতে পারি। আমাদের সহযোগিতা করবে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।”

প্রচার অভিযান  আগামী ১ মার্চ থেকে শুরু হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

“সকল টেলিভিশন এবং রেডিওতে ৮টা ৫০ মিনিটে ‘জীবনকে ভালবাসুন, মাদক থেকে দূরে থাকুন’ স্লোগানটি একযোগে প্রচার করা হবে। ছোট একটা টিভিসি যাবে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও একটা সময়ে প্রচার করব।”

 “পরবর্তীতে আমরা সীমান্ত এলাকায় প্রজেক্টেরে করে কতগুলো মামলা হয়েছে, কতোগুলো শাস্তি হয়েছে এবং এর জন্য পারিবারিকভাবে কতটা সহনশীলতার প্রয়োজন, তদের পুর্নবাসন কীভাবে করা যায়, সরকার কী কী সুবিধা দিচ্ছে সেগুলোর প্রচার করব।”

স্কুল-কলেজে মাদকবিরোধী প্রচারণার পর ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত হওয়ার পরিকল্পনাও জানান তারানা।

তিনি বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সচেতন করার চেষ্টা করব শিক্ষার্থীদের মাদক থেকে দূরে থাকার জন্য।

 কারাগারকেন্দ্রিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের কথা জানিয়ে তারানা বলেন, “সেখানে আমি নিজেও উপস্থিত থাকব। সেখানে আমরা বিভিন্ন ভিডিও চিত্র দেখাব। কারাগারে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে বলেছে যে সেখানেও কিন্তু এই বিষয়টি ব্যাপক হারে দেখা যাচ্ছে। আমরা সেখানেও বিভিন্ন ভিডিও প্রদর্শনের মাধ্যমে কান্সিলিংয়েরও ব্যবস্থা করবো। যারা এ পথ থেকে ফিরে সুস্থ জীবনে এসেছেন এবং সেই সঙ্গে আমিও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রচারণা চালাবো।”