শুক্রবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন কোনো প্রার্থীই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে তিনজন এবং গাইবান্ধা-১ আসনে চারজন প্রার্থী নির্বাচনী লড়াইয়ে থাকছেন।
এর মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট, গণফ্রন্ট ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী রয়েছেন।
শনিবার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করবেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এরপরে আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নামতে পারবেন প্রার্থীরা।
দুই উপ-নির্বাচনের ভোট হবে ১৩ মার্চ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে চূড়ান্ত তালিকায় ৩ প্রার্থী
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপ-নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শফিকুর রহমান তিনজন প্রার্থীর কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেনি বলে জানিয়েছেন।
ফলে এই উপনির্বাচনে ভোটের লড়াইয়ে থাকছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, জাতীয় পার্টির রেজোওয়ান আহমেদ ও ইসলামী ঐক্যজোটের আবুল কাসেম মো. আশরাফুল হক।
গাইবান্ধার-১ উপনির্বাচনে চূড়ান্ত তালিকায় ৪ প্রার্থী
গাইবান্ধা-১ আসনে (সুন্দরগঞ্জ) উপনির্বাচনের জন্য পাঁচজন মনোনয়নপত্র জমা দিলেও বাছাইয়ে এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। পরে চারজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মককর্তা।
তাদের কেউই শুক্রবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
ফলে চূড়ান্ত তালিকায় চারজন প্রার্থী থাকছেন বলে জানিয়েছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও মাহবুবুর রহমান।
তিনি বলেন, শনিবার সকাল ১০টায় চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।
এই আসনের প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী প্রয়াত সংসদ সদস্য মনজুরুল ইসলাম লিটনের বড় বোন আফরোজা বারী, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারি, গণফ্রন্টের শরিফুল ইসলাম ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) জিয়া জামান খান।
এ নির্বাচনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৫৫৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩৪ জন এবং নারী ১ লাখ ৭৩ হাজার ৬২২ জন। ভোট কেন্দ্র ১০৯টি।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মুহাম্মদ ছায়েদুল হক এবং সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফার মৃত্যুতে যথাক্রমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) ও গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জের) আসন দুটি শূন্য হয়।