১১ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে ভাষা সৈনিকদের ‘প্রতীকী পদযাত্রা’

বাংলা ভাষা ও বাংলা সন-তারিখকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক কাজে ব্যবহার, সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন এবং ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি সংরক্ষণসহ ১১ দফা প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের দাবিতে ‘প্রতীকী পদযাত্রা’ করেছেন বায়ান্নর ভাষা সৈনিকরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Feb 2018, 02:09 PM
Updated : 20 Feb 2018, 02:09 PM

মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় ‘ভাষা আন্দোলন স্মৃতিরক্ষা পরিষদের’ ব্যানারে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে ঐতিহাসিক আমতলা থেকে শহীদ মিনারের সামনের রাস্তা পর্যন্ত এই পদযাত্রায় অংশ নেন ভাষা সৈনিক মুস্তাফিজুর রহমান, আব্দুল করিম পাঠান, রেজাউল করিম এবং ফুলে হোসেন।

ভাষা আন্দোলন স্মৃতিরক্ষা পরিষদের ১১ দফা প্রস্তাবনা হলো- জাতিসংঘের দাপ্তরিক কাজে বাংলা ব্যবহারে জোরালো উদ্যোগ গ্রহণ, সর্বস্তরে বাংলা সন ও তারিখ ব্যবহার বাধ্যতামূলক, ২১ ফেব্রুয়ারি ৮ ফাল্গুন ঠিক রাখা, ভাষা শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও বীরত্বগাঁথা পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভূক্ত, বিদেশিদের বাংলা শেখার পাঠ্যসূচি, প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা ব্যবহারে বাংলা সফটওয়ার, ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি বিজড়িত ১৪৪ ধারা ভাঙার গেট থেকে শহীদ মিনার হয়ে আজিমপুর কবরস্থান পর্যন্ত সড়ককে শহীদ সরণী নামকরণ এবং শহীদদের নামে সড়ক ও তোরণের নামকরণ।

পদযাত্রার আগে ভাষা সৈনিকরা বায়ান্নর স্মৃতিচারণ ও এ অর্জনে জাতির কাছে তাদের প্রত্যাশা নিয়ে আলোচনা করেন।

ভাষা সৈনিক ফুলে হোসেন ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ। সেই ভাষাকে অবদমিত করে তারা (পাকিস্তানিরা) উর্দুকে চাপিয়ে দিয়েছিল। ওরা আমার ভাষাকে কেড়ে নিতে চেয়েছিল।”

এ প্রজন্মের কাছে বাংলাকে হাতিয়ার করে এগিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, “এ প্রজন্মের যারা তাদের কাছে আমার অনুরোধ, আমরা যা কিছু করেছি, তা যেন ভুলে না যান। এই বাংলাকে হাতিয়ার করে আপনারা এগিয়ে যান। এগিয়ে যাওয়ার নামই জীবন।”

ভাষাসৈনিক আব্দুল মতিনের সহধর্মিনী মনিকা মতিন বলেন, “ছোটবেলায় ২১ ফেব্রুয়ারিকে আমরা পালন করেছি শহীদ দিবস হিসেবে, এখন পালন করছি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে। এজন্য আমরা গর্বিত।

“বাংলা ভাষা সর্বত্র চালু করা হোক। আজকাল বাংলার সাথে ইংরেজি মিশিয়ে অনেকে কথা বলেন। এই ‘বাংলিশ’ বলার রীতি বন্ধ করা হোক।”