তামাক: এনবিআরের সভায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে না ডাকায় উদ্বেগ

সিগারেটের প্যাকেটে স্ট্যাম্প ও ব্যান্ডরোল ব্যবহার সংক্রান্ত এনবিআরের বৈঠকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে না ডাকায় সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী বাস্তবায়নে তামাক কোম্পানির পরামর্শই চূড়ান্তভাবে গৃহীত হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছে তামাকবিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞা।

লিটন হায়দারবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Feb 2018, 07:47 PM
Updated : 18 Feb 2018, 07:47 PM

সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর আইনানুগ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সিগারেটের প্যাকেটে স্ট্যাম্প ও ব্যান্ডরোল ব্যবহার সংক্রান্ত বৈঠক ২০ ফেব্রুয়ারি ডেকেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। গত ১৪ ফ্রেুয়ারি এই চিঠি ইস্যু করা হয়।

এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মূসক বাস্তবায়ন পণ্যের দ্বিতীয় সচিব মো. রুহুল আমীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সিগারেট প্যাকেটের উপরিভাগে না লাগিয়ে পাশে লম্বালম্বিভাবে স্ট্যাম্প ও ব্যান্ডরোল লাগানো যাবে কি না এ বিষয়টি জানার জন্য এর সাথে যারা সংশ্লিষ্ট শুধু তাদের এই সভায় ডাকা হয়েছে। অন্য কোনো উদ্দেশ্যে নয়।”

এ বিষয়ে রোববার প্রজ্ঞার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ই প্রধান অংশীদার হলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কিংবা এর অধীনস্ত জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলকে এই সভায় ডাকা হয়নি। যাতে তামাকবিরোধীদের মনে নতুন শঙ্কার সৃষ্টি করেছে।

“স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটানোর এই প্রচেষ্টা সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী বাস্তবায়নে শেষ পর্যন্ত তামাক কোম্পানির পরামর্শই চূড়ান্তভাবে গৃহীত হতে পারে।”

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এই সভায় বৃহৎ করদাতা ইউনিট (মূসক) ঢাকার কমিশনার, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, কুমিল্লার কমিশনার, দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন (বাংলাদেশ) লিমিটেডের একজন প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ সিগারেট ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশনের সভাপতিকে সভায় ডাকা হয়েছে।

২০১৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী তামাক পণ্যের প্যাকেটের উপরিভাগে মুদ্রণ বাধ্যতামূলক মর্মে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল (এনটিসিসি) গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সিগারেট ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশনের রিট আবেদনের ফলে হাই কোর্ট গণবিজ্ঞপ্তিটির কার্যকারিতা প্রথমে তিন মাস এবং পরবর্তীতে গত বছর নভেম্বরে আরও ছয় মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করে।

প্রজ্ঞা জানায়, এর আগে গত বছরের ২৪ অগাস্ট এক চিঠিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ওই গণবিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা এক বছরের জন্য স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায়।

“তামাকজাত পণ্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর বাস্তবায়ন না হলে ভবিষ্যৎ তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ছোবল থেকে রক্ষা করা যাবে না। সেই সাথে প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের পূর্বেই তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার যে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন তাও বাধাগ্রস্থ হবে,” বলা হয়েছে বিবৃবিতে।