রোববার সন্ধ্যায় প্রয়াত রাজনীতিক, আইনজীবী ব্যারিস্টার শওকত আলী খানের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
গত ২ ফেব্রুয়ারি দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর প্রথম কোনো উন্মুক্ত অনুষ্ঠানে এসে সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, “শওকত আলী খান সাহেব কিন্তু এই কোর্টের জন্য কারাবরণ করেছেন। এই স্মরণ সভা সফল হবে যদি আমরা এই কোর্টের যত অনিয়ম আছে সেগুলো যদি আমরা সম্মিলিতভাবে দূর করতে পারি।”
“উনি বললেন, এখনতো আপনাকে বলা যাবে না, আমি লিখিত দিব। তো আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি কবে আমি সেই লিখিত বক্তব্য পাব তার তরফ থেকে।”
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীনও এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অ্যাডভোকেট আসমা আক্তার।
শওকত আলী ১৯৫৭ সালে আইন পেশায় যোগ দেন। মুক্তিযযুদ্ধে অংশগ্রহণের পর স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে সংধিান প্রণয়ন কমিটিতে ছিলেন তিনি।
পরে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে তিনি দলটির কোষাধ্যক্ষ ও উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য হন। টাঙ্গাইলের নাগরপুর ও মির্জাপুর থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন শওকত আলী। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন তিনি।
২০০৬ সালের ২৯ জুন মারা যান শওকত আলী।