অনিয়ম: আইনজীবী সমিতির বক্তব্যের ‘অপেক্ষায়’ প্রধান বিচারপতি

সুপ্রিম কোর্টের ‘অনিয়ম-দুর্নীতির’ বিষয়ে আইনজীবী সমিতির লিখিত বক্তব্যের অপেক্ষায় আছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Feb 2018, 03:54 PM
Updated : 18 Feb 2018, 05:41 PM

রোববার সন্ধ্যায় প্রয়াত রাজনীতিক, আইনজীবী ব্যারিস্টার শওকত আলী খানের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

গত ২ ফেব্রুয়ারি দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর প্রথম কোনো উন্মুক্ত অনুষ্ঠানে এসে সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, “শওকত আলী খান সাহেব কিন্তু এই কোর্টের জন্য কারাবরণ করেছেন। এই স্মরণ সভা সফল হবে যদি আমরা এই কোর্টের যত অনিয়ম আছে সেগুলো যদি আমরা সম্মিলিতভাবে দূর করতে পারি।”

প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন প্রথম সাক্ষাৎ করতে গেলে তার কাছে সর্বোচ্চ আদালতের কোথায় কী অনিয়ম, তা জানতে চেয়েছিলেন বলে জানান বিচারপতি মাহমুদ হোসেন।

“উনি বললেন, এখনতো আপনাকে বলা যাবে না, আমি লিখিত দিব। তো আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি কবে আমি সেই লিখিত বক্তব্য পাব তার তরফ থেকে।”

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীনও এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে এ স্মরণ সভার আয়োজন করে শওকত আলী খানস এসোসিয়েটস। এতে সভাপতিত্ব করেন শওকত আলী খানের দৌহিত্র ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রেহান হোসেন।

বিএনপি নেতা জমির উদ্দিন সরকার

আইনজীবী ও রাজনীতিক শওকত আলীর কর্মজীবনের নানা দিক তুলে ধরে স্মৃতিচারণ করেন ড. কামাল হোসেন, এম আমির উল ইসলাম, জমির উদ্দিন সরকার, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সাহারা খাতুন, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন ও সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাবেক রাষ্ট্রদূত আনোয়ার হাসেম, আইনজীবী কেএম সাইফুদ্দিন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অ্যাডভোকেট আসমা আক্তার।

কামাল হোসেন

ব্যারিস্টার শওকত আলী খানের জন্ম ১৯২৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি, টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার কহেলা গ্রামে। তার শৈশব ও কৈশোর কাটে ঢাকা, কলকাতা ও মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে।

শওকত  আলী ১৯৫৭ সালে আইন পেশায় যোগ দেন। মুক্তিযযুদ্ধে অংশগ্রহণের পর স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে সংধিান প্রণয়ন কমিটিতে ছিলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ নেতা ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন

১৯৯৬ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি হন। শুরুতে বামপন্থি রাজনীতি করলেও স্বাধীনতা উত্তরকালে তিনি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন।

পরে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে তিনি দলটির কোষাধ্যক্ষ ও উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য হন। টাঙ্গাইলের নাগরপুর ও মির্জাপুর থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন শওকত আলী। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন তিনি।

২০০৬ সালের ২৯ জুন মারা যান শওকত আলী।