শনিবার রাজধানীর প্রেসক্লাবে এক স্মরণসভায় বাংলাদেশ জাসদ সভাপতি শরীফ নূরুল আম্বিয়া বলেন, “তার সান্নিধ্যে যারা এসেছেন, তাকে সমীহ করে চলেছেন। বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশের জন্য তিনি জীবন উৎসর্গ করে গেছেন।”
সভায় আরো বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া ও গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন।
১৯৪২ সালে কুষ্টিয়ায় জন্ম নেওয়া কাজী আরেফ পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় এসে স্থায়ী হন ১৯৪৮ সালে। আইয়ুব খানের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয় তার।
ষাটের দশকেই সিরাজুল ইসলাম খানের গোপন সংগঠন স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ বা ‘নিউক্লিয়াস’ এর সদস্য হন তিনি। নেতৃত্ব দেন ঐতিহাসিক ছয় দফা এবং ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে। মুক্তিযুদ্ধে মুজিব বাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান ছিলেন তিনি।
স্বাধীনতার পর জাসদ এবং নব্বইয়ের দশকের শুরুতে গণআদালত গঠনে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কালিদাসপুরে এক জনসভায় গুলিতে নিহত হন কাজী আরেফ।