ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাশে রাস্তা অবরোধ করে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের’ ব্যানারে সমাবেশ করে এ দাবি জানান তারা৷
পরিষদের আহ্বায়ক ইমরান হোসেন বলেন, ৫৬ শতাংশ কোটার কারণে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও মেধাবীরা চাকরি পাচ্ছে না।
“মেধাবীরা যাতে দেশের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক জায়গায় যেতে পারে, এজন্য কোটা সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি৷ আমরা কোটার বিপক্ষে না ৷ কোটা কমিয়ে ১০ শতাংশ করার দাবি জানাচ্ছি।”
সমাবেশের আগে তারা শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে মিছিল বের করে বিক্ষোভ দেখান। কর্মসূচি চলাকালে শাহবাগ, টিএসসি, হাইকোর্ট এলাকায় যানজট দেখা দেয়৷
চাকরি প্রার্থী রাশেদ খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের দাবি হচ্ছে, কোটাবৈষম্য দূর করতে হবে ৷ চাকরিতে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে৷ সর্বোচ্চ কোটা ১০ শতাংশ রাখতে হবে৷”
এদিকে কোটা বহাল রাখার দাবিতে আরেকটি বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটি।
তাদের মিছিলও শাহবাগ থেকে শুরু হয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে যায়।
দুই দল মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কায় পুলিশ তাদের অন্য কোথাও যেতে বললে তারা প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
সংগঠনটির সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন, “যারা দেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে, আজ তারা কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে৷ মুক্তিযোদ্ধারা যদি দেশ স্বাধীন না করতেন, তাহলে কিভাবে তারা স্বাধীন দেশে চাকরি পেতেন?”
তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ৩০ শতাংশ কোটা বহাল রেখে সংস্কার করা যেতে পারে বলে তিনি মত দেন।