‘পর্যায়ক্রমে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে মিয়ানমার’

মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খ শোয়ে বলেছেন, চুক্তি অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবেন তারা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Feb 2018, 04:40 PM
Updated : 15 Feb 2018, 05:02 PM

বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি একথা বলেন বলে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন জানিয়েছেন।

মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাত দিয়ে তিনি বলেছেন, মিয়ানমার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করতে প্রস্তুত। রোহিঙ্গাদের প্রাথমিক আশ্রয়ের জন্য ক্যাম্পও তৈরি করা হয়েছে।

“তিনি বলেছেন, তার সরকার কফি আনান কমিশনের সুপারিশসমূহ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করবে।”

কয়েক দশক ধরে মিয়ানমারে জাতিগত নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গাদের ওপর গত ২৫ অগাস্ট নতুন করে সেনাবাহিনীর দমন অভিযান শুরু হলে ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আসতে শুরু করে তারা।

এই কয় মাসে সাড়ে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। আগে বিভিন্ন সময়ে আসা আরও চার লাখের মতো রোহিঙ্গার ভার বহন করছে বাংলাদেশ।

মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে রাষ্ট্রপতি এই বিষয়টি তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, “মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বিতাড়িত রোহিঙ্গা নাগরিকরা বাংলাদেশের জন্য বড় সমস্যা।”

এই রোহিঙ্গারা যাতে দ্রুত নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে নিজ দেশে ফিরতে পারে সেজন্য যথাযথ উদ্যোগ নিতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।

রোহিঙ্গাদের ফেরার জন্য মিয়ানমারে অনুকূল পরিবেশ এবং সেদেশের সরকারের ওপর যাতে আস্থা তৈরি হয় তার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।

বাস্ত্যুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর পুনর্নির্মাণ, কৃষিজমি ও দোকানপাট ফেরত দিতে মিয়ানমার সরকার উদ্যোগ নেবে বলে প্রত্যাশা করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য গত ২৩ নভেম্বর মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্মতিপত্র সই হয়।এর ভিত্তিতে দুই দেশ যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করে এবং ১৬ জানুয়ারি ওই গ্রুপের প্রথম বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিভিন্ন বিষয় ঠিক করে ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ স্বাক্ষরিত হয়।

জানুয়ারির শেষ দিকেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যায়। মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে এই প্রক্রিয়া কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা হবে বলে বুধবার জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

এদিন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকেও তিনি উপস্থিত ছিলেন।