বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।
বিকালে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
ফজিলাতুন নেসা মন্ত্রীর কাছে জানতে চান- বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমানের বিরুদ্ধে বিচারাধীন মামলাগুলো কী; তারেক রহমান কী কোনো মামলায় সাজাপ্রাপ্ত; সেটা কী মামলা এবং কবে তিনি দণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন?
টেবিলে উত্থাপিত তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে কাফরুল থানায় ২০০৭ সালে একটি মামলা করা হয়। এই মামলায় তারেক রহমান ছাড়াও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু আসামি হিসেবে অভিযুক্ত হন। এটি এখনও নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে তারেকের বিরুদ্ধে ২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলার মামলার (হত্যা মামলা ২৯/১১ ও বিস্ফোরক দ্রব্য ৩০/১১) বিচার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা (১৫৫৮২/১৭) চলমান রয়েছে।
ঢাকার সিএমএম কোর্টে মানহানি মামলার (১৯৬/২০১৫) অভিযোগ তদন্তনাধীন রয়েছে। এছাড়া সি আর মামলা ৯৫৪/১৪, সি আর মামলা ৮৪১/১৪, সি আর ৬১৪/১৪ এর চলমান রয়েছে।
এছাড়া গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তারেকের ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে তারেক রহমানের মা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার, যে কারণে এখন কারাবন্দি তিনি।
নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলা ১,৬৫,৫৫০
অপর এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা এক লাখ ৬৫ হাজার ৫৫০টি। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৪৪ হাজার ৫৪৬টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৩ হাজার ৩০টি, রাজশাহীতে ১৬ হাজার ১২৮টি, খুলনা বিভাগে ১৯ হাজার ১৩৮টি, বরিশাল বিভাগে ১০ হাজার ১৬৩টি, সিলেট বিভাগে ১১ হাজার ৮০৭টি ও রংপুর বিভাগে ২০ হাজার ৭৩৮টি।
প্রশ্নোত্তরে মন্ত্রী বলেন, সারা দেশে ৫০০ স্থানে সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩০টি। এর মধ্যে ২৯টি মামলা সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। বাকি একটি মামলা উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে।