সেই সঙ্গে হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে চাকরি প্রত্যাশীদের করা পাঁচটি লিভ টু আপিলও (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) সর্বোচ্চ আদালতে খারিজ হয়ে গেছে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারকের আপিল বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়।
এর ফলে ২০১৬ সালের ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী দুই হাজার ২০১টি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে আর আইনগত কোনো বাধা থাকল না বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
আদালতে সোনালী ব্যাংকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী শেখ ফজলে নূর তাপস ও মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী। আবেদনকারী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু, কামরুল হক সিদ্দিকী, রফিকুর রহমান।
মেহেদী হাসান চৌধুরী পরে সাংবাদিকদের বলেন, “হাই কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে চাকরিপ্রার্থীদের পাঁচটি লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছে আপিল বিভাগ। আর পরীক্ষাসহ নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর থেকে স্থিতাবস্থা তুলে নেওয়া হয়েছে।”
সিনিয়র অফিসার, অফিসার ও অফিসার ক্যাশ পদে দুই হাজার ২০১টি জনকে নিয়োগের জন্য ২০১৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি সোনালী ব্যাংক তিনটি বিজ্ঞপ্তি দিলে তার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন ৪৭৪ জন।
তাদের দাবি ছিল, ২০১৪ সালের ৩১ জানুয়ারি ১ হাজার ৭০৭টি পদে নিয়োগের জন্য সোনালী ব্যাংকের আরেক বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে তারা আবেদন করেছিলেন। ‘অভ্যন্তরীণ তালিকায়’ তাদের নাম এলেও শেষ পর্যন্ত নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
এ কারণে ২০১৬ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে এবং নিজেদের নিয়োগের আরজি জানিয়ে তারা ওই রিট করেন।
ওই রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত বছরের ২৭ জুলাই হাই কোর্ট আবেদনটি খারিজ করে রায় দেয়। পরে হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে পৃথক পাঁচটি আবেদন (লিভ টু আপিল) করেন তারা।
আপিল বিভাগ তখন নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেয়। সেই লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়ে আদালত মঙ্গলবার স্থিতাবস্থা তুলে নেওয়ায় নিয়োগ প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার পথ খুলল।
সোনালী ব্যাংকের আইনজীবী মেহেদী হাসান চৌধুরী জানান, ২০১৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে মোট আট লাখ চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছিলেন।