র্যাব-২ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আনোয়ারুজ্জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে ওই দুইজনকে গ্রেপ্তার করেন তারা।
এরা হলেন- নুরুজ্জমান লাবু (৩৯) ও নাজমুল ইসলাম শাওন (২৬)। তাদের কাছে কিছু দেশীয় অস্ত্র, উগ্র মতবাদের বই এবং ডলার পাওয়া গেছে বলে র্যাবের ভাষ্য।
ঝিনাইদহে সদ্য ধর্মান্তরিত হয়ে খ্রিস্টান হওয়া এক ব্যক্তিকে হত্যার পরিকল্পনা লাবু করেছিলেন বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব কর্মকর্তা আনোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, “লাবু কখনও দিনমজুর কখনও রিকশাচালক। সম্প্রতি সে জেএমবি থেকে একটি বিদ্যুতচালিত অটোরিকশা পেয়েছে। এ দিয়ে সে আয় করত, আবার জঙ্গি তৎপরতাও চালাত।
“গ্রেপ্তার হওয়ার পর সে বলেছে, খ্রিস্টান ধর্মাবম্বালী এক ব্যক্তিকে সে খুনের পরিকল্পনা করেছিল। এজন্য সে গত কয়েকদিন ধরে তাকে অনুসরণ করছিল। কিন্তু সময় ও সুযোগ না মেলায় তা সম্ভব হয়ে উঠছিল না।”
লাবু এক সময় জামায়াতে ইসলামীতে যুক্ত ছিলেন জানিয়ে র্যাব কর্মকর্তা বলেন, “২০১৫ সালে সাইফ ওরফে রুবেল নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে সে জেএমবিতে যোগ দেয়।”
সাইফ ওরফে রুবেল সম্পর্কে এ মহুর্তে কোনো তথ্য নেই র্যাবের কাছে।
লাবুর সঙ্গে গ্রেপ্তার শাওন একজন মেরিন প্রকৌশলী। শাওনের বাড়ি ফরিদপুরে, তবে বিভিন্ন মাধ্যমে ঝিনাইদহের লাবুর সঙ্গে তার পরিচয় ঘটে এবং জঙ্গি তৎপরতা চালাতে তারা একত্রিত হয়ে পরিকল্পনা করতেন বলে র্যাবের দাবি।
র্যাব কর্মকর্তা আনোয়ার বলেন, “শাওন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করত। ২০১৫ সালে আবু অবদুল্লাহ নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে জেএমবিতে জড়িয়ে পড়ে। এরপর সে চাকরি ছেড়ে দেয়। পরিবার থেকেও সে এক প্রকার বিচ্ছিন্ন ছিল।”
শাওনের ফেইসবুকের প্রায় সব কটি স্ট্যাটাস ‘জঙ্গি সংক্রান্ত’ বলে র্যাব জানিয়েছে।