দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা মাথায় নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে বিএনপিনেত্রী খালেদা জিয়া পুরনো এই কারাগারের বাসিন্দা হওয়ার পর থেকেই সবার নজর এখন এদিকে।
বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার আগে থেকেই পুরনো কারাগার ঘিরে নাজিমুদ্দিন রোডের প্রবেশমুখগুলোতে কড়াকড়ি চলছে। কারাগারের প্রধান ফটক থেকে দুই পাশে একশ গজ দূরে রয়েছে পুলিশের ব্যারিকেড।
শুক্রবার চকবাজার হাজী সেলিম টাওয়ারের সামনের রাস্তা, বেগমবাজার মোড়, প্রধান ফটকের সামনে আবুল হাসনাত রোডে এবং নাজিমউদ্দিন রোডের সামনেও ব্যারিকেড দেখা গেছে। ব্যারিকেডের ভেতরে ঢোকা, ছবি তোলা নিষেধ।
খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকেই তাকে নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। কারাগারে কেমন আছেন তিনি- এ প্রশ্নের উত্তর জানতে আগ্রহী গণমাধ্যমকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ- সবাই।
শুক্রবার সকালে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী কারাগারে থাকা খালেদাকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনকে কারাগারে ‘সাধারণ কয়েদির’ মতো রাখা হয়েছে।
বিকালে খালেদার বোন সেলিমা ইসলাম, ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার, তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা ও তাদের ছেলে অভিক এস্কান্দার কারাগারে গিয়ে দেখে আসেন খালেদাকে।
গণমাধ্যমকর্মীরা খালেদার খবর জানার জন্য দিনভর ব্যারিকেডগুলোর সামনে অবস্থান নিয়ে থাকলেও তার ভাই-বোনের সঙ্গে কথা বলতে পারেননি। জানতে পারেননি- কারাগারে কেমন কেটেছে তার প্রথম রাতটি।
এদিকে আইনৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তার মধ্যে বৃহস্পতিবার বন্ধ করে দেওয়া নাজিমউদ্দিন রোডের দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শুক্রবারও খোলেনি। মানুষজনকে চলতে হচ্ছে ওই এলাকা এড়িয়ে, বিকল্প পথে। বাসা থেকে খুব দরকার না হলে কেউ বের হচ্ছেন না।
আবুল হাসনাত রোডের এক ভবনের নিরাপত্তাকর্মী রমিজ জানান, ব্যারিকেডের কারণে কারাগারের মূল ফটকের সামনে ভবনগুলোর বাসিন্দাদের বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে চলতে হচ্ছে ঘুরপথে।
সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ পরিদর্শক কায়কোবাদ বলেন, কারাগারে খালেদা জিয়া থাকার কারণেই এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
স্থানীয়ভাবে ‘জেলখানার ঢাল’ হিসেবে পরিচিত ওই এলাকার বন্ধ একটি প্লাস্টিক পণ্যের দোকানের মালিক জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে পুলিশের ব্যারিকেড বসলেও সকাল থেকেই এই রাস্তায় মানুষজন চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। শুক্রবারও একই অবস্থা।
এ অবস্থা কতদিন থাকবে তাও বলতে পারেননি তিনি।