বৃহস্পতিবার মিরপুরের কয়েকটি পরীক্ষাকেন্দ্রের আসা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, পরীক্ষাকেন্দ্রে ঠিকসময়ে পৌঁছালেও সড়কে রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে দ্বিগুণ খরচে তারা কেন্দ্রে পৌঁছান।
কল্যাণপুর থেকে মিরপুর ১০ নম্বরের মিরপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে এসেছেন মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তিন্নী। বাস না থাকায় কিছু পথ হেঁটে, তারপর সিএনজিতে করে তিনি এসেছেন কেন্দ্রে।
রাস্তা ফাঁকা থাকায় আসতে বেশি সময় না লাগলেও তাদের ৩০০ টাকা গুনতে হয়েছে তিন্নীর মা হাফসা বেগম জানালেন।
“কিছু তো করার নাই, মেয়ের পরীক্ষা। একটু দেরি হলেই কেন্দ্রে ঢুকতে ঝামেলা হবে। তাই বাধ্য হয়েই চলে এসেছি। আর গাড়িও তো কম।”
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী সামিহা বিনতে বশীর তার মায়ের সাথে ৯টা ১০মিনিটে কেন্দ্রে এসে পৌঁছেছে। হাটখোলা রোডের বাসা থেকে প্রতিদিন রিকশায় এলেও বৃহস্পতিবার অটোররিক্শায় করে এসেছে।
একই কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী আবু রায়হান শাফির বাবা ব্যবসায়ী মাহমুদ উল্লাহ বলেন, রিকশা চড়ে আসতে তাকে অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশি টাকা গুনতে হয়েছে।
“মগবাজার থেকে মতিঝিল রিকশা ভাড়া চেয়েছে ১০০ টাকা। শেষে ৮০ টাকায় এসেছি। অন্যান্য দিন ৫০ টাকা নেয়।”
“সাড়ে ১১ নম্বর থেকে এখানে রিকশা ভাড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা। অথচ আজকে এসেছি ৮০ টাকায়।”
মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে চার পাঁচজন পরীক্ষার্থী সাড়ে ৯টার পর কেন্দ্রে ঢোকে। তাদের সাথে আসা অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এদের সবার বাসা সেগুন বাগিচা এলাকায়। মতিঝিল আসার পথে বিএনপি কার্যালয়কে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা পেরিয়ে পৌঁছাতে তাদের দেরি হয়েছে।
ফজলুল করিম নামে একজন অভিভাবক বলেন, “আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলাম আজ বাচ্চাকে নিয়ে তাড়াতাড়ি বের হব। তবুও দেরি করে ফেললাম।”
প্রশ্ন পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে এক শিক্ষার্থী বলেন, “প্রশ্ন পেয়েছি, তবে তা কিছুটা ঝাপসা হওয়ায় দেখতে সমস্যা হচ্ছে।”
প্রশ্ন নিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছেন কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এখন একটু দেখে নেই, শিওর হওয়ার জন্য। অনেকেই তো প্রশ্ন পায়। আমি না পড়লে আমিই তো পিছিয়ে যাবো।”
এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে পৌঁছানো ও সময়মত পরীক্ষা শুরু করা নিয়ে মতিঝিল, বেইলি রোড, সিদ্ধেশ্বরী, খিলগাঁও, মগবাজার ও কাকরাইল এলাকায় কোনো বিশৃঙ্খলা দেখা যায়নি।