ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ এনে সুশান্ত কুমার বসু নামের ওই আইনজীবী মঙ্গলবার বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করেন।
বিচারক সাইফুল ইসলাম অভিযোগ গ্রহণ করে ধানমণ্ডি থানার ওসিকে বিষয়টি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন এবং আগমী ৯ এপ্রিল এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ধার্য করেন।
আনিস আলমগীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফটোগ্রাফি ও চলচ্চিত্র বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষকতার পাশাপাশি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতার পাঠদান করেন। তার আগে তিনি বেশ কয়েকটি সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে কাজ করেছেন।
মামলার আর্জিতে বলা হয়, “জনগণের ধর্মীয় অনুভূতি সম্পর্কে জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও জেনে-বুঝে হিন্দুদের আরাধ্য দেবীকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে আনিস আলমগীর ফেইসবুক আইডি থেকে ওই অশ্লীল বক্তব্য প্রচার করেন।”
বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা ওঠার পর ক্ষমা চেয়ে ইতোমধ্যে ফেইসবুকে লিখেছেন আনিস আলমগীর।
তিনি বলেছেন, “আমার শব্দচয়ন আপনাদের পছন্দ হয়নি, আঘাত পেয়েছেন অনেকে। আমি যাকে কমপ্লিমেন্ট ভেবেছি, তাকে আপনারা অপমান মনে করেছেন। সেই ভুল বোঝাবুঝির জন্য আমি তো ক্ষমা চেয়েছি। আবারও চাচ্ছি।”
তিনি আরও লিখেছেন, “এটা নিয়ে প্লিজ ইস্যু বানানো বন্ধ রাখেন। এমনিতে দেশটা সাম্প্রদায়িক ইস্যুতে অস্থির।”