একই সঙ্গে এসব মেডিকেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুমোদনের ‘ব্যবস্থা‘ করে দেওয়ায় সমালোচনা করেছেন আইনজীবীদেরও।
রোববার সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে নাসিম বলেন, “শিক্ষার মান রক্ষা না করার জন্য আমরা যেসব মেডিকেল কলেজের ভর্তি বন্ধ করে দিয়েছিলাম। আদালত তাদেরকে ভর্তির অনুমতি দিয়েছে।
“এসব মেডিকেল কলেজগুলোর টাকার বিনিময়ে তারা বড় বড় আইনজীবী ধরেছে। ওই আইনজীবারা আদালতে মিথ্যা কথা বলে কলেজগুলোর অনুমোদনের ব্যবস্থা করেছে।”
মানহীন কোনো মেডিকেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ভর্তির অনুমোদন দেওয়া হবে না বলেও তিনি আবার হুঁশিয়ারি দেন।
সংসদ সদস্য পঞ্চানন বিশ্বাস তার প্রশ্নে জানতে চেয়েছিলেন- “কিছু বেসরকারি মেডিকেল কলেজ সরকারের নির্দেশনা না মেনে নিজেদের মতো ভর্তির ব্যবস্থা করছে। তারা কী মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে এটা করছে নাকি অন্য কোনোভাবে এই ভর্তির ব্যবস্থা করছে?”
জবাবে মন্ত্রী বলেন, বেসরকারি মেডিকেল শিক্ষার বিষয়ে একটি নীতিমালা রয়েছে। সেই নীতিমালা অনুসরণ করে মেডিকেল কলেজকে অনুমোদন দেওয়া হয়। তাদের ভর্তির অনুমোদন দেওয়া হয়, শিক্ষার অনুমোদন দেওয়া হয়।
যেসব মেডিকেল কলেজ আদালতের আদেশ নিয়ে ভর্তি করাচ্ছে, সেগুলোতে একাডেমিক ভবন, গ্রন্থাগার, শিক্ষক না থাকার কারণে ভর্তি বন্ধ রাখতে মন্ত্রণালয় নির্দেশ দিয়েছিল বলে তিনি জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “তারা (আদালত) কয়েকটি মেডিকেল কলেজকে জরিমানাও করেছে। আবার কয়েকদিন আগে তারাই (আদালত) পর পর চারটি মেডিকেল কলেজকে ভর্তির অনুমতি দিয়েছে।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “এই সব মেডিকেল কলেজগুলো বড় বড় আইনজীবী ধরেছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন এখানে (সংসদে) রয়েছেন। কী স্বার্থ আমরা জানি না। কোর্টে গিয়ে মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে মিথ্যা কথা বলে সমস্ত মানহীন কলেজকে ভর্তির অনুমোদন দিয়েছে। এই যদি অবস্থা হয় তাহলে আমরা কোথায় যাব?”