গত ১২ জানুয়ারির ওই অভিযানে নিহতদের মধ্যে দুজনের পরিচয় ইতোপূর্বে পাওয়া গিয়েছিল। তাদের একজন কুমিল্লার মেজবাহ উদ্দিন এবং অন্যজন চট্টগ্রামের নাফিস উল ইসলাম।
তৃতীয় জনের নাম রবিন মিয়া বলে রোববার জানিয়েছে র্যাব।
রবিনের বয়স ১৪ বছর। তার বাড়ি শেরপুরের নকলায়।
র্যাব-৩ অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল মো. এমরানুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রবিনের বড় ভাই গোলাম মোস্তফা রোববার বিকালে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন।
অভিযানের পরদিন নিহত প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে মেজবাহ বলে র্যাব জানায়। ১৮ জানুয়ারি বাকি দুই কিশোরের ছবি প্রকাশের পর নাফিসকে শনাক্ত করে চট্টগ্রাম পুলিশ।
র্যাব কর্মকর্তা এমরানুল বলেন, “বাকি একজনের পরিচয়ের ব্যাপারে কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। আজ গোলাম মোস্তফা যোগাযোগ করে জানায়, ছবির একজন তার ছোট ভাই বলে মনে হচ্ছে। পরে বিকালে মর্গে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।”
চাল ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফার বরাত দিয়ে র্যাব কর্মকর্তা জানান, রবিন তিন ভাই এক বোনের মধ্যে ছোট। তিনি ৬ষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করার পর ২০১৩ সালে ভাইয়ের সঙ্গে ব্যবসায় যুক্ত হন।
গত ৭ জানুয়ারি দোকানের ক্যাশ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়ে বেরিয়ে পড়ার পর থেকে রবিন লাপাত্তা ছিল বলে তার ভাই জানান। খুঁজে না পেয়ে নকলা থানায় একটি জিডিও করেন তারা।
গোলাম মোস্তফা র্যাবকে বলেছেন, “গত ৫ বছর ধরে রবিন মোবাইল ফোনের প্রতি আসক্ত ছিল। সে ফেইসবুকও ব্যবহার করতো এবং ইসলামী উগ্রবাদীদের স্ট্যাটাসগুলোতে লাইক দিত, কখনও কমেন্টস বা নিজেও স্ট্যাটাস দিত।”
৭ জানুয়ারি আগেও রবিন একবার বাসা থেকে বেরিয়ে গাজীপুরে তার বোনের বাসায় এক বন্ধুকে নিয়ে উঠেছিল। কিন্তু বন্ধুকে নিয়ে উঠায় বোন এবং দুলাভাই তাকে ধমক দিয়ে বের করে দেয়।
নিহত নাফিসের সঙ্গে রবিনের আগে থেকে সম্পর্ক ছিল বলে র্যাব কর্মকর্তা এমরানুল জানান।
তিনি বলেন, “আমরা জানতে পেরেছি, প্রায় তিন মাস অগে নাফিসের বাসায় রবিন রাত কাটিয়েছিল। কীভাবে নাফিসের সাথে তার সম্পর্ক হল, সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।”