আগামী বুধবার গ্যালারি কায়ায় এই প্রদর্শনী শুরু হবে বলে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে গ্যালারি কায়ার কর্ণধার গৌতম চক্রবর্তী বলেন, বাংলাদেশে এটাই প্রথম খ্যাতিমান এই শিল্পীর একক চিত্র প্রদর্শনী। আট দিনের এই প্রদর্শনীতে তার গুরুত্বপূর্ণ ৫৯টি গ্রাফিক চিত্রকর্ম স্থান পাবে।
তিনি বলেন, “দেড় বছর ধরে আমরা এ চিত্র প্রদর্শনীটি আয়োজন করার চেষ্টা করছিলাম। শেষ পর্যন্ত আমরা করতে পারছি।”
২৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর যৌথভাবে এ প্রদর্শনী উদ্বোধন করবেন।
ভারতের মহারাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া মকবুল ফিদার শিল্পী জীবন শুরু হয় সিনেমার বিলবোর্ড এঁকে। তিনি চিত্রকলার জন্য একটি নতুন ভাষা গড়ে তোলেন, যা ছিল ঐতিহ্য আর আধুনিকতার উজ্জ্বল সমন্বয় হিসেবে দেখা হয়।
ঢাকার গ্যালারি কায়ার সংবাদ সম্মেলনে চিত্র সমালোচক অধ্যাপক মহিউদ্দিন খালেদ বলেন, “ধর্মীয় বিষয়কে মানবিকতায় উত্তীর্ণ করার এত বড় অভিযান হুসেন ছাড়া আর কোনো শিল্পী করেননি। কারণ সব শিল্পেরই জন্ম কিন্তু ভক্তিতে শ্রদ্ধায় এবং তার চূড়ান্ত প্রকাশ কিন্তু ধর্ম চর্চায়, সেটা মুসলমানের মসজিদ হোক, হিন্দুর মন্দির হোক, কিংবা চার্চে হোক।”
সেখান থেকে বেরিয়ে এসে ধর্মীয় বিষয়কে মানবিকতায় উত্তীর্ণ করায় তার গুরুত্ব অপরিসীম এবং হুসেন যদি সেটা না করতেন তাহলে ভারতবর্ষের এতো ধর্মের-বর্ণের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হতেন না বলে মনে করেন তিনি।
“হুসেনই পেরেছেন হিন্দুর ভারত, মুসলিমের ভারত, বৌদ্ধের ভারত, আদিবাসীর ভারত- সমস্ত মানুষের তার শ্রদ্ধা-ভক্তির মাধ্যমে যেসব ইমেজ-নকশা আঁকা হয়, সেগুলোকে আত্মীকরণ করে বিশেষ সার্বজনীন ভারতীয় বৈশিষ্ট্যের শিল্পী হয়ে উঠতে।”
কায়া গ্যালারির এ প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে মকবুল ফিদার বিবর্তন সরাসরি পাঠ করা যাবে বলেও মন্তব্য করেন এই চিত্র সমালোচক।
গৌতম চক্রবর্তী ভবিষ্যতে আরও বড় কলেবরে মকবুল ফিদা হুসেনের প্রদর্শনী আয়োজনের আশা প্রকাশ করেন।
উত্তরার চার নম্বর সেক্টরের গ্যালারি কায়ায় ২৪ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত প্রদর্শনী চলবে।
এ চিত্র প্রদর্শনীটির পৃষ্ঠপোষকতায় আছে এডিএন গ্রুপ ও সুহানা এন্ড আনিস আহমেদ ফাউন্ডেশন। প্রদর্শনীটির অনলাইন মিডিয়া পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, রেডিও পার্টনার রেডিও ফূর্তি, অনলাইন পার্টনার আর্টিচুড এবং সিকিউরিটি পার্টনার ইউরো ভিজিল।