লাইসেন্স ছাড়া কৃষির জন্য নলকূপ স্থাপনে আগে জরিমানা ছিল সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা। বিল পাসে তা বেড়ে হচ্ছে ১০ হাজার টাকা, অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড রাখা হয়েছে।
১৯৮৫ সালের ‘দ্য গ্রাউন্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট অর্ডিন্যান্স’ বাতিল করে নতুন করে আইন করতে ‘কৃষি কাজে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১৮’ সংসদে রোববার পাসের প্রস্তাব করেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি হয়।
বিলে বলা হয়েছে, উপজেলা পরিষদ নলকূপের লাইসেন্স স্থগিত ও বাতিল করতে পারবে। বিদ্যমান নলকূপগুলোকে সময় দিয়ে লাইসেন্স নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে।
যদি কোনো লাইসেন্স এক বছরের মধ্যে তিনবার স্থগিত হয় তবে উপজেলা পরিষদ শুনানি করে তা বাতিল করতে পারবে বলেও বিলে বিধান রাখা হয়েছে।
আগের আইনের মত এই বিলে উপজেলা সেচ কমিটির বিধান রাখা হয়েছে।
গত ১২ জুলাই বিলটি সংসদে তোলেন কৃষিমন্ত্রী। পরে তা পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সামরিক শাসনামলে প্রণীত অধ্যাদেশটি বাংলায় অনুবাদ করে আইনে রূপান্তর করা হচ্ছে।
নলকূপ স্থাপনে লাইসেন্স নেওয়ার বিধান আগের অধ্যাদেশেও ছিল।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, “কৃষি উন্নয়নে ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার জন্য এবং সেচ কাজে পানির অপচয় হ্রাস, ভূগর্ভের পানির সুপরিকল্পিত ব্যবহার নিশ্চিত করতে আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে।”