শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন থেকে এই দাবি জানানো হয়।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আবদুস সোবহান নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ ও টিস্যু ব্যাগের উৎপাদন ও বাজারজাতে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি জানান।
পবা পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পাটের ব্যাগ, কাপড়ের ব্যাগ, কাগজের ব্যাগ ও ঠোঙ্গা সহজলভ্য করা ও ব্যবহারে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা, বন্ড লাইসেন্সের মাধ্যমে আমদানি করা কাঁচামাল পলিথিন শপিং ব্যাগ তৈরিতে ব্যবহার বন্ধ করা, টিস্যু ব্যাগ তৈরির কাঁচামাল আমদানি বন্ধ করা, সংশ্লিষ্ট সরকারি অফিসের কর্মকর্তাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যে সমন্বয় নিশ্চিতের দাবি জানায়।
পবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইন অমান্য করে ব্যাপকভাবে নিষিদ্ধ পলিথিন শপিং ব্যাগের উৎপাদন, মজুদ, পরিবহন, বিপণন, বাজারজাত ও ব্যবহার করা হচ্ছে।
“রপ্তানিজাত পণ্যের বাজারজাত, প্যাকেজিং নার্সারির চারা, রেণুপোনা পরিবহন এবং মাশরুম চাষের ক্ষেত্রে পলিথিন উৎপাদনের ছাড়পত্র নিয়ে শপিং ব্যাগ তৈরি ও বাজারজাত করা হচ্ছে।”
নিষিদ্ধ পলিথিন তৈরির প্রায় এক হাজার ২০০ কারখানা সারাদেশে রয়েছে বলে পবার দাবি। সংগঠনটি বলছে, ঢাকা শহরে একটি পরিবার প্রতিদিন গড়ে চারটি করে পলিথিন ব্যবহার করে থাকে।
“সেই হিসেবে শুধু ঢাকা শহরেই দুই কোটির বেশি পলিথিন ব্যাগ একবার ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। এরফলে ড্রেন, নালা-নর্দমা, খাল, ডোবা ভরাট হয়ে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার প্রকোপ বাড়িয়ে দিচ্ছে।”
মানববন্ধনে মডার্ন ক্লাব, বাংলাদেশ নিরাপদ পানি আন্দোলন, পুরান ঢাকা নাগরিক উদ্যোগসহ আরও কয়েকটি সংগঠন অংশ নেয়।
এতে বক্তব্য দেন পবার সহ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ ও মো. সেলিম, সংগঠনটির প্রকল্প কর্মকর্তা তানভির মাসুম, আবুল হাসানাত, নাজিম উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন।