ইসির গাফিলতির প্রশ্নই ওঠে না: সচিব

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপ-নির্বাচন এবং উত্তর-দক্ষিণের ৩৬টি ওয়ার্ডের সাধারণ নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের কোনো গাফিলতি ছিল না বলে দাবি করেছেন ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Jan 2018, 02:35 PM
Updated : 18 Jan 2018, 02:35 PM

বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের ১৭তম সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।

সচিব জানান, বুধ ও বৃহস্পতিবার ঢাকার ভোটের বিষয়ে হাই কোর্ট যে স্থগিতাদেশ দিয়েছে কমিশন সভায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

“কমিশন বলেছে- মহামান্য হাই কোর্টের এই আদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনের সব কার্যক্রম স্থগিত থাকবে,” বলেন হেলালুদ্দীন।

আদালতের আদেশের লিখিত কপি না পাওয়ায় পরবর্তী করণীয়ও নির্ধারণ হয়নি বলে জানান তিনি।

আনিসুল হকের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে উপনির্বাচন এবং দুই সিটিতে নতুন যুক্ত হওয়া ১৮টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর নির্বাচনের জন্য গত ৯ জানুয়ারি তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। সেখানে ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোটের দিন ঠিক করে নির্বাচনের বিস্তারিত সময়সূচি দেওয়া হয়।

ওই তফসিলের বৈধতা চ্যালঞ্জ করে দুই ইউপি চেয়ারম্যানের করা রিট আবেদনে হাই কোর্ট বুধবার উত্তরের নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করে দেয়।

আর ডেমরার এক ভোটারের করা এক রিট আবেদনে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নতুন ১৮টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের তফসিলও হাই কোর্ট স্থগিত করে দেয়।

ইসি সচিব হেলালুদ্দীন বলেন, “ আমরা এখন পর্যন্ত বিস্তারিত আদেশ পাইনি। শুধু মিডিয়ার মাধ্যমে এবং উকিল প্রত্যায়নের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি। যখন আদেশটি হাতে পাব আমরা নির্বাচন কমিশনে উপস্থাপন করব।

“কোন কোন জায়গায়, কোন বিষয়ের ওপর মহামান্য হাই কোর্ট ওনাদের অবজারভেশনের আলোকে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন, সেটা আমরা জানতে পারিনি।”

জটিলতা নিরসন না হওয়ায় কমিশনের দায় রয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নে ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন, “আদেশটা পাওয়ার পরে মন্তব্য করতে পারব। আমাদের গাফিলতির প্রশ্নই ওঠে না।”

বিকালে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে ১৭তম কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উত্তরের ভোট আটকে যাওয়ার পর বুধবার নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, কমিশন আদালতের আদেশ পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

অন্যদিকে বিএনপির অভিযোগ, ‘সরকারের ইঙ্গিতেই’ ঢাকার সিটি নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।