সেতাফুল বর্তমানে পিরোজপুর জেলা ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত।
“তাকে পিরোজপুর সদর থানা হাজতে রাখা হয়েছে,” বলেন প্রনব।
বুধবারই কিশোরগঞ্জ সদর থানায় দুদকের সহকারী পরিচালক রামপ্রসাদ মণ্ডল বাদী হয়ে অর্থ আত্মসাতের মামলাটি করে। এরপর তাকে গ্রেপ্তারের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
সেতাফুল ইসলাম ভূমি অধিগ্রহণের জন্য বরাদ্দ করা তহবিল থেকে ১৫ কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ উঠে।
এর মধ্যে পাঁচ কোটি টাকা তিনি গায়েব করেছেন এবং বাকি ১০ কোটি টাকা কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসন জব্দ করেছে দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে।
২০১৬ সালের নভেম্বরে কিশোরগঞ্জ জেলায় ‘হাওর এলাকার বন্যা ব্যবস্থাপনা ও জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন প্রকল্পের’ জন্য ১৪০ একর ভূমি অধিগ্রহণ করতে অনুমোদনের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানানো হয়, কিন্তু তা আজ পর্যন্ত অনুমোদন পায়নি।
দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূমি অধিগ্রহণের ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করে তা দেখিয়ে সেতাফুল ইসলাম ওই অর্থ হস্তান্তর করতে জেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তাকে অনুরোধ জানান। এরপর হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা চেক পাস করে কিশোরগঞ্জ সোনালী ব্যাংক শাখা ও বাজিতপুর শাখায় পাঠান।
এরপর সেতাফুল ওই পাঁচ কোটি টাকা গত ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে কয়েকটি হিসাব নম্বরে ট্রান্সফার ও নগদ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন বলে দুদক জানায়।
সেতাফুল ইসলাম ঢাকার ডেমরা থানার পূর্ব ডগাইর এলাকার মো. দেদার আলী মোল্লার ছেলে।