বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডে ১৩ দিনের সফরের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার তিনি ঢাকায় পৌঁছাবেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
অং সান সু চির সরকার তার সঙ্গে অসহযোগিতা কথা ও তাকে মিয়ানমারে ঢুকতে দিতে অস্বীকৃতি জানানোর পর নিজের দায়িত্ব পালনে প্রতিবেশী এই দুই দেশ সফর করছেন তিনি।
ইয়াংহি লি সাত দিনের সফর শেষে ২৪ জানুয়ারি থাইল্যান্ড যাবেন এবং ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত সেখানে থাকবেন। লি তার বাংলাদেশ সফরের বেশির ভাগ সময় কাটাবেন কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে।
সফর শুরুর আগে তিনি বলেছেন, “আমাকে মিয়ানমারে ঢুকতে না দিয়ে এবং দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা না করে আমার কাজকে আরও কঠিন করে তোলা হয়েছে। কিন্তু মিয়ানমার থেকে পালিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে সম্ভাব্য সব উপায়ে আমি তথ্য সংগ্রহ করব।
“আমার ওপর অর্পিত দায়িত্বের অংশ হিসেবে মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নিপীড়নের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের সহযোগিতা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সর্বোচ্চ সক্ষমতা দিয়ে তা পালনে আমি অঙ্গীকারবদ্ধ।”
মিয়ানমারকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে ইয়াংহি লি বলেন, “নিপীড়িতদের পক্ষে কথা বলা আমার দায়িত্ব। আমি আমার দায়িত্ব পালন থেকে বিচ্যুত হব না।”
সফরে প্রাপ্ত তথ্য মার্চ মাসে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে উপস্থাপন করবেন ইয়াংহি। জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ ২০১৪ সালে তাকে স্পেশাল র্যাপোর্টিয়ার পদে নিয়োগ দেয়।