বেসিকের অর্থ আত্মসাৎ: এবার জাপা নেতার ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

বেসিক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ১৩৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এবার ব্যবসায়ী ফয়সাল মুরাদ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Jan 2018, 08:05 AM
Updated : 17 Jan 2018, 08:05 AM

মামলায় ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ফখরুল ইসলামকেও আসামি করা হয়েছে।

বুধবার রাজধানীর মতিঝিল থানায় দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক বাদী হয়ে মামলাটি করেন বলে জানান কমিশনের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।

এর আগে বেসিক ব্যাংক থেকে নেওয়া ২৭৫ কোটি টাকা ঋণের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত ১০ জানুয়ারি ফয়সাল মুরাদের বড় ভাই জাতীয় পার্টির নেতা মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম ও তার স্ত্রী সংসদ সদস্য মাহজাবীন মোরশেদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

‘বে নেভিগেশন লিমিটেডের’ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়সাল মুরাদ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে করা মামলার অভিযোগে বলা হয়, পর্যাপ্ত জামানত না দিয়ে বেসিক ব্যাংকের দিলকুশা শাখার নেতিবাচক মতামত থাকা সত্ত্বেও ঋণ মঞ্জুর করে, শর্ত ভঙ্গ করে ব্যাংকের পাওয়া পরিশোধ না করে সুদসহ আসামিরা ১৩৭ কোটি ১৪ লাখ ছয় হাজার ৯৮২ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

এই অভিযোগে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি করা হয়েছে বলে জানান প্রণব।

মামলার এহাজারে বলা হয়, “আসামি ফয়সাল মুরাদ ইব্রাহিমের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১১ সালে কার্গো জাহাজ আমদানি করার জন্য ৯ দশমিক ৫০ মিলিয়ন ডলার এলসি ঋণ সুবিধা অনুমোদন করা হয়।

“ব্যাংকের ওই শাখা ও প্রধান কার্যালয়ের ক্রেডিট কমিটির সুপারিশ ছাড়াই মূখ্য প্রতিনিধি হিসেবে ব্যবস্থাপনা পরিচালক একক ক্ষমতাবলে ঋণ প্রস্তাবনা বোর্ডে উপস্থপনা করেন এবং অনুমোদন করেয়ে নেন।”

এই ঋণের বিপরীতে জামানত হিসেবে আমদানি করা ওই জাহাজ ও প্রোটেকটিভ ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের শেয়ার ছাড়া সহায়ক জামানত নেই বলে এজাহারে জানানো হয়।

এতে বলা হয়, জামানত দেওয়া জাহাজটি বর্তমানে অচল; এবং এর বিক্রয় মূল্য যা নির্ধারিত হয়েছে তা থেকে ভ্যাট, টেক্স, বন্দরের পাওনা, জাহাজের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করে আর অবশিষ্ট কোনো টাকা না থাকায় ব্যাংক ঋণ পরিশোধ হচ্ছে না।