মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে এই পরিসংখ্যান জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
এটা গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত হিসাব।
আইনমন্ত্রী জানান, বিচারাধীন মামলার মধ্যে ২৮ লাখ ১৬ হাজার ৪৭৪টি নিম্ন আদালতের এবং ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৩১৫টি উচ্চ আদালতের।
উচ্চ আদালতের মামলার মধ্যে আপিল বিভাগে ১৬ হাজার ৫৬৫টি (দেওয়ানি-১১ হাজার ৩০৭ ও ফৌজদারি ৫ হাজার ২৫৮) এবং হাই কোর্ট বিভাগে ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৭৫০টি (দেওয়ানি ৯৩ হাজার ১৭৪, ফৌজদারি ২ লাখ ৯৭ হাজার ৬৩৫, রিট-৭৬ হাজার ৭৭০)।
নিম্ন আদালতের মামলার মধ্যে ১২ লাখ ৭৯ হাজার ১৭টি দেওয়ানি এবং ১৫ লাখ ৩৭ হাজার ৩৬৭টি ফৌজদারি।
মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী পাঁচ বছর ও তার চেয়ে বেশি সময় ধরে চলমান মামলার সংখ্যা ৮ লাখ ৯৩ হাজার ২৮৬টি। এর মধ্যে দুই লাখ ৯২ হাজার ২৩টি উচ্চ আদালতে।
ভুয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও ভুয়া মামলার উৎস অনুসন্ধান করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে বলেও সংসদে জানান আনিসুল হক।
বিচার বিভাগ ও পুলিশের নানা পদক্ষেপের ফলে বর্তমানে ভুয়া পরোয়ানা ও ভুয়া মামলার ফাঁদ পাতা প্রতারক চক্রের দৌরাত্ম্য কমে গেছে বলেও দাবি করেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, ভুয়া পরোয়ানা ও ভুয়া মামলার বিষয়গুলো আদালতের নজরে এলে আদালত ভিন্ন কোনো মামলায় তাকে আটক রাখার প্রয়োজন না হলে মুক্ত করে দেন।
সাড়ে ৩ লাখ পদ শূন্য
মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের সুকুমার রঞ্জন ঘোষের প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের শূন্য পদের সংখ্যা এখন ৩ লাখ ৫৯ হাজার ২৬১টি।
মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তরগুলোতে বর্তমানে প্রথম শ্রেণির ৪৮ হাজার ২৪৬টি, দ্বিতীয় শ্রেণির ৫৪ হাজার ২৯৪টি, তৃতীয় শ্রেণির এক লাখ ৮২ হাজার ৭৩৭টি এবং চতুর্থ শ্রেণির ৭৩ হাজার ৯৮৪টি পদ শূন্য রয়েছে।
শূন্য পদ দ্রুত পূরণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।