রেলে নিয়োগ: ১৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন

অডিটর পদে অবৈধ নিয়োগের অভিযোগে বাংলাদেশ রেলওয়ের যুগ্ম মহাপরিচালক মো. নজরুল ইসলামসহ ১৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগপত্র অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Jan 2018, 12:26 PM
Updated : 16 Jan 2018, 03:15 PM

মঙ্গলবার কমিশনের বৈঠকে তা অনুমোদন পায় বলে দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, শিগগিরই অভিযোগপত্র আদালতে উপস্থাপন করা হবে।

 নজরুল ইসলাম ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের সাবেক প্রশাসন কর্মকর্তা এ বি এম মফিজুল ইসলাম, সাবেক এডি (প্রশাসন) জি এম মামুনুর রশিদ (বর্তমানে রেলওয়ের উপ-পরিচালক), রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের ডিএফএ (পেনশন) এএফএম শহীদ উল্লাহ, ডিএফএ মো. আনিসুল হক।

অডিটর পদে নিয়োগ পাওয়াদের মধ্যে আসামি করা হয় হোসনা আক্তার, ফারজানা সুলতানা, মো. নুরুল আমিন, সাঞ্চিতা সাদেক, অপুর্ব বিশ্বাস, জিএম আবুল কালাম, মো. মনিরুজ্জামান ও প্রদীপ কুমার সরকারকে। 

 অভিযোগপত্র অনুমোদনের বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি আমার বক্তব্য উনাদের (দুদক) কাছে দিয়েছি। এখন চার্জশিট অনুমোদনের বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।”

গত বছরের ১০ মার্চ চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানা মামলা উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। বাদী নিজেই মামলাটি তদন্ত করেন।

প্রনব কুমার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের হিসাব বিভাগে অডিটর পদে নিয়োগের জন্য পাঁচ ওই কর্মকর্তাকে (আসামিদের প্রথম পাঁচজন) নিয়ে নির্বাচনী কমিটি গঠন করে রেলওয়ে।

নিয়োগ কমিটির ওই সদস্যরা লাভবান হওয়ার জন্য পারস্পরিক যোগসাজশে অবৈধভাবে ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ওই আট অডিটরকে (আসামি) নিয়োগে সুপারিশ করেন বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

দণ্ডবিধির ১৬৬/১৬৭/২১৭/ ১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় নিয়োগ পাওয়া এক অডিটরসহ ছয়জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।

কিন্তু তদন্তে আরও সাত অডিটরকে অবৈধ নিয়োগের প্রমাণ পাওয়ায় মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে কমিশন অভিযোগপত্র অনুমোদন দিয়েছে বলে জানান প্রনব।