শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান জানান, মো. আনোয়ার হোসেন নামের ওই যাত্রী সোমবার রাত ৯টার দিকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে শাহজালালে নামেন। সোনার চালান আসার গোয়েন্দা তথ্য থাকায় শুরু থেকেই তার ওপর নজর রাখেন শুল্ক গোয়েন্দারা।
আনোয়ার গ্রিন চ্যানেল দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি স্বর্ণ থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন। কিন্তু তার কথায় ‘অসঙ্গতি’ পাওয়া্য় ব্যাগেজ কাউন্টারে এনে শুল্ক গোয়েন্দারা তার দেহ তল্লাশি করেন।
তিনি বলেন, আনোয়ার এ বছর জানুয়ারিতেই দুইবার ঢাকা-সিঙ্গাপুর যাতায়াত করেছেন। গতবছর তিনি বিদেশে গেছেন পাঁচবার। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি একজন ‘লাগেজ ব্যবসায়ী’ হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
“তিনি দাবি করেছেন, ওই স্বর্ণ রেজাউল নামের এক ব্যক্তির। সিঙ্গাপুরে যাতায়াতের টিকেট ও ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে তিনি নাকি ওই স্বর্ণ বহন করছিলেন।”
মইনুল খান বলেন, আনোয়ারের কাছে পাওয়া ৪৩টি সোনার বিস্কুটের মোট ওজন চার কেজি ২৮৬ গ্রাম। আনুমানিক বাজারমূল্য দুই কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
শুল্ক আইনে আনোয়ারের বিরুদ্ধে মামলা করে তাকে বিমানবন্দর থানায় সোপর্দ করা হবে বলে জানান শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের মহাপরিচালক।