রাজউকের ২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক

জাল কাগজপত্রের ভিত্তিতে নকশা অনুমোদনের অভিযোগে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) দুই কর্মকর্তাসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Jan 2018, 04:13 PM
Updated : 15 Jan 2018, 04:13 PM

সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয় বলে উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

যাদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে তারা হলেন- রাজউকের সাবেক অথরাইজড অফিসার আমিনুর রহমান, সাবেক ইমারত পরিদর্শক (নকশা অনুমোদন শাখা) মো. জুলফিকার আলী সিদ্দিকী ও ডেভলপার প্রতিষ্ঠান ‘জামান রোজ গার্ডেনের’ স্বত্ত্বাধিকারী আনিসুজ্জামান ভূঁইয়া রানা।

প্রণব জানান, শিগগিরই দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালযের উপ-সহকারী পরিচালক মেফতাহুল জান্নাত মামলা করবেন।

ঘটনার বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা এলাকার ‘সরাইজাফরাবাদ’ মৌজায় ১১৬ নম্বর প্লটে ছয়তলা ভবন নির্মাণে নকশা অনুমোদনের জন্য রাজউকে একটি আবেদন করা হয়। ওই জমির মালিক মো. মিজানুর রহমান ও তার ভাই মো. রাশেদের পক্ষে অভিযুক্ত আনিসুজ্জামান ভূঁইয়া রানা এ আবেদনটি করেন।

জমির মালিকদের সঙ্গে চুক্তি অনুসারে ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ জমির উপর ভবন নির্মাণের জন্য আবেদন করার কথা থাকলেও রানা ভুয়া ও জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ জমি দেখিয়ে আবেদন করেন। কিন্তু আবেদনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে ইমারত পরিদর্শক জুলফিকার আলী তা অনুমোদন করেন।

এছাড়া রানার দ্বারা অবৈধভাবে লাভবান হয়ে ভুয়া কাগজপত্রেই নকশা অনুমোদনের পক্ষে অথরাইজড অফিসার আমিনুর রহমানও মতামত দেন। আবেদনে জমির দুই মালিকের মধ্যে মিজানুর রহমানের নাম বাদ দিয়ে মোমেনা বেগমসহ আরও কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হয় বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

অনুমোদনের পর ওই জায়গায় ছয়তলা সম্পূর্ণ ভবন নির্মাণ ও সাত থেকে নয়তলা পর্যন্ত ভবনের আংশিক কাজ হয়েছে বলে দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।

দুদকের অনুসন্ধানে জালিয়াতির প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা তিনজনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০/৪০৬/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা দায়েরের সুপারিশ করলে কমিশন তা অনুমোদন দেয় বলে জানান প্রণব কুমার।