সোমবার এ সংক্রান্ত ‘বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (সংশোধন) বিল-২০১৮’ সংসদে উত্থাপন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান।
পরে বিলটি পরীক্ষা করে ২১ কার্যদিবসের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
২০১৩ সালের এ সংক্রান্ত আইন সংশোধনের জন্য বিলটি আনা হয়েছে।
বিদ্যমান আইনের ১২ ধারার ৪ উপধারায় বলা হয়েছে, ‘বিশেষ মেধা ও যোগ্যতার অধিকারী গবেষকগণকে গবেষণায় আকৃষ্ট ও উৎসাহিত করতে এবং তাদের মেধা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা গবেষণার কাজে যথাযথভাবে ব্যবহারের জন্য তাদের চাকুরির বয়সসীমা হবে ৬৭ (সাতষট্টি) বছর’।
সংসদে উত্থাপিত বিলে এই ধারাটিই বিলুপ্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনটির বিষয়ে মন্ত্রী ইয়াফেস বলেন, “...প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের অবসরের বয়সসীমা ৫৯ বছর। কিন্তু বিশেষ মেধা ও যোগ্যতা নির্ধারণের কোনো মাপকাঠি না থাকায় বিসিএসআইআরের গবেষকরা পিআরএলে না গিয়ে আইনের আওতায় রিট মামলার মাধ্যমে চাকরিতে বহাল আছেন। এতে জুনিয়র বিজ্ঞানীদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে জটিলতাসহ পরিষদের কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।
“বিসিএসআইআরের বিদ্যমান আইনের ফলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের আওতায় গবেষক ও বিজ্ঞানীদের এবং সকল সরকারি কর্মচারীদের মাঝে একটি বৈষম্যমূলক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সকল গবেষক-বিজ্ঞানীদের বয়সসীমা নির্ধারণের জন্য একই আইন প্রণয়নের সুবিধার্থে বিদ্যমান বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ আইনের ১২ ধারার ৪ উপধারাটি বিলুপ্ত হওয়া প্রয়োজন।”
মন্ত্রী আরও জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে গবেষণা কাজে নিয়োজিত সকল মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থাগুলোর বিজ্ঞানীদের জন্য অবসরগ্রহণের বয়সসীমা সংক্রান্ত একই রকম ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।