ঢাকার উপকণ্ঠে টঙ্গীর তুরাগ তীরে রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আখেরি মোনাজাত শেষ হতেই মুসল্লিরা রওনা হন বাড়ির পানে।
এসময় সড়কে গাড়ি না পেয়ে অনেককে দীর্ঘ পথ হাঁটতে হয়।
বিকাল ৪টার দিকে হেঁটে আসতে দেখা যায় পশ্চিম রামপুরার মোহাম্মদ আলী নামের এক ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিকে।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গাড়ি না পেয়ে তার মতো অনেকেই হেঁটেই বাড়ির পথে রওনা হন।
বনানী চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় জালাল হোসেন, শাওন হোসেন ও মো. সাগর নামের তিন কিশোরকে হেঁটে যেতে দেখা যায়।
শাওন বলেন, “বাড়ি ফিরতে অনেক মুসল্লিকেই ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।”
আজিমপুরের একটি বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী মো. মোস্তফার (৬০) সঙ্গেও দেখা হয় বনানীতে, বিকাল সাড়ে ৩টায়। তিনি বলেন, “মোনাজাতের পর থেকে হাঁটতে শুরু করেছি। এখন আর পা আর চলছে না।”
উত্তরা এলাকায় কর্মরত ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মো. সালাউদ্দিন বলেন, “মোনাজাতের পর হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে যায়। তখন গাড়ি চলাচল করতেও সমস্যা হচ্ছিল।”
দুপুর ১টার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে বলে জানান তিনি।
ইজতেমা ময়দান ছাড়াও দক্ষিণে খিলক্ষেত, উত্তরে চেরাগ আলী, পূর্বে টঙ্গী বিসিক শিল্পনগরী ও পশ্চিমে আশুলিয়া পর্যন্ত প্রায় ১০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় প্রায় ২৫ লাখ মানুষ শামিল হন এই মোনাজাতে।
ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে বহু নারীও মোনাজাতে অংশ নিতে এসেছিলেন। ময়দানে ঢোকার অনুমতি না থাকায় তারা আশপাশের বিভন্ন কারখানা ও আবাসিক ভবনের ছাদে অবস্থান নিয়ে মোনাজাতে হাত তোলেন।
নরসিংদী থেকে টঙ্গীতে আসা কামরুন্নাহার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নারীদের মোনাজাতে অংশ নেওয়ার জন্য ময়দানের বাইরে আলাদা ব্যবস্থা করা উচিৎ।
গত শুক্রবার ভোরে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল ৫৩তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। এই পর্বে অংশ নেন ঢাকাসহ ১৭ জেলার মুসলমানরা।
চার দিন বিরতি দিয়ে ঢাকা ছাড়াও আরও ১৫ জেলার মুসলমানদের অংশগ্রহণে আগামী শুক্রবার শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। ২১ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্যামে শেষ হবে বিশ্ব তাবলিগ জামাতের এই বার্ষিক সম্মেলন।