পুলিশ হেফাজতের আসামিকে মোবাইল কোর্টে সাজা, বিচারককে তলব

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় পুলিশ হেফাজতে থাকা ফৌজদারী মামলার এক আসামিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সাজা দেওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ওসি ও দুইজন উপপরিদর্শককে তলব করেছে হাই কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Jan 2018, 10:48 AM
Updated : 14 Jan 2018, 10:48 AM

আগামী ২৮ জানুয়ারি তাদে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাই কোর্ট বেঞ্চ রোববার রুলসহ এ আদেশ দেয়।

গাঁজাসহ আটকের ঘটনায় গত বছর ১৪ অক্টোবর লোহাগড়ার আধুনগরের বাসিন্দা মো. বেলাল হোসেনকে আট মাসের সাজা দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত । ওই সাজার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ও ক্ষতিপূরণ দাবি করে গত সপ্তাহে তিনি রিট করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বেলাল উদ্দিনকে দেওয়া সাজা কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

একইসঙ্গে রিট আবেদনকারীকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না তাও রুলে জানতে চেয়েছে আদালত।

চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ওই থানার ওসিসহ পাঁচজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

পরে মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, “অন্য একটি মামলায় গত বছরের ১৩ অক্টোবর রাতে বেলালকে গ্রেপ্তার করে পরদিন তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালতের ১৪ অক্টোবরের আদেশে দেখানো হয় বেলা ১২টা ১০ মিনিটে বেলালকে তার গ্রামের বাড়ির সামনে থেকে দুই পুরিয়া গাঁজাসহ হাতেনাতে ধরা হয়। কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালতের জব্দ তালিকায় তারিখ বলা হয় ১৩ অক্টোবর রাত ৯টা ৫ মিনিট।  

“এর মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে যে, পুলিশের কাস্টডিতে থাকা অবস্থায় তাৎক্ষণিকভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত স্থাপন করে বাদিকে সাজা দেওয়া হয়েছে, যা সংবিধান ও আইনের পরিপন্থি।”