শুক্রবার ওই অভিযান শেষ হলেও শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি; শনাক্ত করা যায়নি নিহতদেরও।
র্যাব বলছে, নিহত তিনজনই জঙ্গি।
জঙ্গি অবস্থানের সন্দেহে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে পশ্চিম নাখালপাড়ার রুবী ভিলা নামে ওই বাড়ি ঘিরে ফেলে র্যাব।
বাহিনীর দাবি, অভিযান চালাতে গেলে ভেতর থেকে র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি-বোমা ছোড়া হলে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়।
শুক্রবার সকালে অভিযান শেষে র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমদ জানান, জঙ্গিবিরোধী অভিযানে তিনজন নিহত হয়েছেন।
তেজগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক মো. শাহজাহান শনিবার সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জিজ্ঞাসায় বলেন, “এখনও কোনো মামলা হয়নি।”
র্যাব-৩ অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল মো. এমরানুল হাসান জানান, তারা মামলা সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। শনিবার রাতেই মামলা হবে।
এমরান বলেন, এই ঘটনায় বাড়ির মালিক সাব্বির হোসেন, মেসের ম্যানেজার শীতল এবং বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক রুবেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
লাশ তিনটি সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এ এম সেলিম রেজা সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানান, শনিবার তারা তিনটি লাশের ময়নাতদন্ত করেন। তিনজনের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।
“তিনজনের দেহে গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়। একজনের দেহের ভেতরে একটি গুলি পাওয়া গেছে।”
তিনজনের শরীরে মোট ১০ থেকে ১২টি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রায় প্রতিটি গুলি শরীর ভেদ করে বেরিয়ে যায়। গুলিতেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।”
পুলিশ যে সুরতহাল প্রতিবেদন দিয়েছে, তার সঙ্গে তাদের ময়নাতদন্তও মিলেছে বলে জানান এই চিকিৎসক।
তবে র্যাবের অভিযানের নিহতদের সুরতহালে কী উল্লেখ করা হয়েছে, সে বিষয়ে পুলিশ কিছু বলেনি।