জাতির উদ্দেশে ভাষণে ভোটের বার্তা প্রধানমন্ত্রী হাসিনার

টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর চার বছর পূর্ণ করে ভোটের বছরের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচন নিয়ে তার অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।

রিয়াজুল বাশার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Jan 2018, 07:01 PM
Updated : 12 Jan 2018, 07:21 PM

শুক্রবার জাতির উদ্দ্যেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেছেন, ২০১৮ সালের শেষ দিকে একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন হবে। আর তা হবে সংবিধান মেনে, অর্থাৎ তার নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে। তবে ২০১৩ সালের মত এবারও নির্বাচনের আগে মন্ত্রিসভা পুনর্গঠনের মাধ্যমে একটি ‘নির্বাচনকালীন সরকার’ গঠন করা হবে।

নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত সব দলকে সেই নির্বাচনে পাওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তবে দশম সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ভোট বর্জন ও সহিংসতার কথা মনে করিয়ে দিয়ে ‘কোনো কোনো মহলের’ অরাজকতা সৃষ্টির সম্ভাব্য ‘অপচেষ্টার’ বিষয়ে জনগণকে তিনি সতর্ক করেছেন।

নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ভোট বর্জন করা বিএনপি এখনও সেই দাবিতে অনড়। আর বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার সম্ভাবনা নাকচ করে আসা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও যে অবস্থান বদলাননি, তার ভাষণে সেই বার্তা স্পষ্ট।

তার এই ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, এর মধ্য দিয়ে দেশকে আরেক দফা সঙ্কটের দিকে ঠেলে দিলেন শেখ হাসিনা।

অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা নয় বছর বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ দেওয়ায় ভাষণের ‍শুরুতেই জাতির কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, “আমার উপর যে বিশ্বাস ও আস্থা রেখেছিলেন, আমি প্রাণপণ চেষ্টা করেছি আপনাদের মর্যাদা রক্ষা করার। কতটুকু সফল বা ব্যর্থ হয়েছি সে বিচার আপনারাই করবেন।”

সরকারের চার বছর পূর্তিতে শুক্রবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি

আর আগামী নির্বাচনের দিকে ইংগিত করে জাতির উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারাই সকল ক্ষমতার মালিক। কাজেই লক্ষ্য আপনাদেরই ঠিক করতে হবে- আপনারা কী চান! আপনারা কি দেশকে সামনে এগিয়ে যাওয়া দেখতে চান, না বাংলাদেশ আবার পিছনের দিকে চলুক তাই দেখতে চান।… একবার ভাবুন তো, মাত্র ১০ বছর আগে দেশের অবস্থানটা কোথায় ছিল?”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৭ বছর অতিক্রান্ত হতে চলেছে। তিনি চান না, এ জাতি আর দরিদ্র হিসেবে পরিচিত হোক। তিনি চান, বাঙালি জাতি বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে বেঁচে থাক।

“এসব যদি আপনার চাওয়া হয়, তাহলে আমরা সব সময়ই আপনার পাশে আছি।”

টানা তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করতে এই ভাষণে সরাসরি ভোট চাননি শেখ হাসিনা। তবে বরাবরের মতই তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পেরেছে বলেই বাংলাদেশে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে।

“নয় বছর একটানা জনসেবার সুযোগ পেয়েছি বলেই বাংলাদেশ উন্নত হচ্ছে।”  

বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে এবং আগামী প্রজন্ম একটি সমৃদ্ধশালী দেশ পাবে- এমন আশা প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যেন ব্যাহত না হয়, এ বিষয়ে সচেতন হয়ে দেশবাসীকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবার আহ্বান জানাচ্ছি।”

সংসদ ভবনের নকশায় ‘ব্যত্যয়’ ঘটিয়ে নিরাপত্তা সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করার ছবিটি মঙ্গলবারের। ছবি: নয়ন কুমার

ভোট এ বছরের শেষে

বাংলাদেশের ইতিহাসে ভোটের বছরটি বরাবরই রাজনৈতিক উত্তাপ, সহিংসতা আর অনিশ্চয়তা- সংশয়ের বছর হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আসছে।

বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী, দশম জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে একাদশ সংসদের নির্বাচন হতে হবে। সেই হিসাবে আগামী নির্বাচন হতে হবে ৩০ অক্টোবর থেকে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে। 

এই নিয়মে ভোটের জন্য ২০১৯ সালের জানুয়ারিতেও কিছুদিন সময় হাতে থাকছে। তবে প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে স্পষ্ট করেই বলেছেন, ২০১৮ সালের শেষ দিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। 

তিনবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবচেয়ে বেশি সময় বাংলাদেশের সরকার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিন মেয়াদে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন ১৪ বছর ধরে।

জাতির উদ্দেশে তার ২৬ মিনিটের ভাষণের প্রায় অর্ধেক সময় জুড়ে ছিল গত নয় বছরে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং সাফল্যের বিবরণ। বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নাশকতার বিবরণও সেখানে গুরুত্ব পেয়েছে।

বরাবরের মতই তার এ ভাষণ জাতীয় সম্প্রচার মাধ‌্যমে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে প্রচার করা হয়।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপির বর্জনে অর্ধেক আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয় পান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়

ভোট ‘সংবিধান অনুযায়ী’

শেখ হাসিনা তার ভাষণে বলেন, কীভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তা সংবিধানে স্পষ্টভাবে বলা আছে। আগামী নির্বাচন সেভাবেই হবে। 

১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে যোগ হওয়ার পর সপ্তম, অষ্টম ও নবম সংসদ নির্বাচন ওই নির্দলীয় সরকারের অধীনেই হয়। এর মধ্যে দুটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এবং একটিতে বিএনপি জয়ী হয়।  

২০০৬ সালে বিএনপি সরকারের শেষ দিকে রাজনৈতিক সঙ্কটের প্রেক্ষাপটে জরুরি অবস্থা জারির পর সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছর ক্ষমতায় থাকে; তখনই এ পদ্ধতির দুর্বলতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

২০১১ সালের ১০ মে এক রায়ে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ওই বছরই সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বিলুপ্ত করে আওয়ামী লীগ সরকার।

শুরু থেকেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের বিরোধিতা করে আসা বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনের পাশাপাশি তা ঠেকানোর আন্দোলনে নামে। অন্যদিকে নির্বাচনে জিতে আওয়ামী লীগ আবারও সরকার গঠন করে। 

নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি জোটের ওই আন্দোলন এবং নির্বাচনের বর্ষপূর্তি ঘিরে তাদের তিন মাসের অবরোধে নাশকতায় অন্তত দুইশ মানুষের প্রাণহানি হয়।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ওই দিনটি বিএনপি পালন করে আসছে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ৫ জানুয়ারিকে পালন করে ‘গণতন্ত্র রক্ষা দিবস’ হিসেবে।

বিএনপি নেতারা অভিযোগ করে আসছেন, আওয়ামী লীগ আগামী মেয়াদেও ক্ষমতায় থাকা নিশ্চিত করতে তাদের বাইরে রেখেই ভোট করতে চায়। ফলে ক্ষমতাসীনদের অধীনে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলেই তাদের বিশ্বাস।    

নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন না হলে জনগণ তা মেনে নেবে না- এমন কথাও বিএনপি নেতারা বলে আসছেন। 

অন্যদিকে অনির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া আওয়ামী লীগ নেতারা বলে আসছেন, আগামী নির্বাচনও সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতাসীনদের অধীনেই হবে। আর তাতে অংশ না নিলে বিএনপি রাজনৈতিকভাবে অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে।   

গত ডিসেম্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে সমঝোতার কোনো উদ্যোগে তিনি নেবেন কি না। 

শেখ হাসিনা জবাবে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে কোনো ধরনের সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে বলেছিলেন, বিএনপি ‘নাকে খত দিয়ে’ নির্বাচনে আসবে।

নির্বাচনকালীন সরকার

জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের আগে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে। সেই সরকার সর্বোতভাবে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন পরিচালনায় সহায়তা দিয়ে যাবে।”

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে স্পষ্ট কোনো ব্যাখ্যা সংবিধানে নেই। বর্তমান ব্যবস্থায় ভোটের আগে সংসদ ভেঙে দেওয়ার প্রয়োজন হয় না, তবে সংসদের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ থাকে।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার অধীনে অপেক্ষাকৃত ছোট একটি মন্ত্রিসভা গঠন করেন; যার নাম দেওয়া হয় ‘সর্বদলীয় সরকার’।

ওই মন্ত্রিসভায় আওয়ামী লীগের শরিক দলগুলোর নেতাদের নেওয়া হয়। স্বল্প পরিসরের ওই মন্ত্রিসভা সরকারের দৈনন্দিন কার্যক্রম  পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে। বিএনপিকে সেই ‘সর্বদলীয়’ সরকারে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হলেও তারা প্রত্যাখ্যান করে।

নয় বছরের আন্দোলনে সাফল্য না পাওয়া বিএনপি এখন আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুর্নবহালের কথা বলছে না। তার বদলে নাম বদলে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে তারা। আবার আগামী নির্বাচনে তাদের অংশ নেওয়ার কথাও জোরের সঙ্গে বলতে শোনা গেছে দলটির নেতাদের।  

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেন, “বিএনপি সবচেয়ে বড় দল, তাকে (বিএনপি) বাদ দিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না। কারণ সারা পৃথিবী বুঝে গেছে যে, হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি, হবে না।” 

‘নিবন্ধিত সব দলকে’ ভোটে পাওয়ার আশা

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অনুসন্ধান কমিটির মাধ্যমে ২০১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে দেন, যার অধীনে আগামী নির্বাচন হবে।

গত ডিসেম্বরের শেষে এ কমিশনের অধীনে হওয়া রংপুরের সিটি নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। কিন্তু তখনও তিনি বলেছিলেন, এ নির্বাচন কমিশনের ওপর কোনো আস্থা তার দলের নেই।

প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে স্থানীয় সরকারের কয়েকটি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করে ‘জনগণের আস্থা অর্জন করেছে’।

“আমি আশা করি, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত সকল দল আগামী সাধারণ নির্বাচনে অংশ নেবেন এবং দেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে সমুন্নত রাখতে সহায়তা করবেন।”

বিএনপির জোটসঙ্গী জামায়াতে ইসলামী আদালতের আদেশে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন হারানোর পর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অযোগ্য হয়ে যায় দশম সংসদ নির্বাচনের আগেই। সে বিষয়টিকে বিএনপির নির্বাচন বর্জনের পেছনে একটি বড় কারণ হিসেবে দেখিয়ে আসছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। 

মির্জা ফখরুল গত ডিসেম্বরেও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির জোট ভেঙে যায়নি।

আর খালেদা জিয়া চলতি বছরের শুরুতে বলেন, “২০১৪ সালের মতো নির্বাচন আর হবে না। এই দেশে নির্বাচন হবে সকল দলের অংশগ্রহণে।”

নির্বাচনের বর্ষপূর্তি ঘিরে ২০১৫ সালে বিএনপি-জামায়াতের হরতাল-অবরোধে নাশকতায় প্রাণ যায় বহু মানুষের, দগ্ধ হন অনেকে

‘সতর্ক থাকুন’

সব নিবন্ধিত দলকে ভোটে চাইলেও বিএনপির গত নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টার কথা মনে করিয়ে দিয়ে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জাতিকে সতর্ক থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

তিনি বলেন, “কোনো কোনো মহল আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা করতে পারে। আপনাদের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।”

২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে নির্বাচন প্রতিরোধ এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে বিএনপি-জামায়াতের হরতাল-অবরোধে ৫০০ নিরীহ মানুষের প্রাণহানির তথ্য দেন প্রধানমন্ত্রী।

সে সময় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার গাড়ি, ২৯টি রেলগাড়ি ও নয়টি লঞ্চ পুড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ৫২৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৭০টি সরকারি অফিস ও স্থাপনায় ভাংচুর-অগ্নিসংযোগের কথাও তিনি বলেন।

নির্বাচন বর্জনের সংস্কৃতি নিয়ে হুঁশিয়ার করে তিনি ভাষণে বলেন, “জনগণ অশান্তি চান না। নির্বাচন বয়কট করে আন্দোলনের নামে জনগণের জানমালের ক্ষতি করবেন- এটা আর এদেশের জনগণ মেনে নেবেন না।”