বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র থেকে নেওয়া বই পড়ে তা নিয়ে পর্যালোচনা লিখে এই পুরস্কার পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনের পাশের মাঠে দুই দিনব্যাপী এ উৎসব উদ্বোধন করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ।
এ আয়োজনে সহযোগিতা করছে গ্রামীণফোন। তিন পর্বে আয়োজিত এ উৎসবে ৯০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছয় হাজার ১৯৪ জন শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার দেওয়া হবে।
সকালে পুরস্কার বিতরণী উৎসবের প্রথম পর্বে ৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই হাজার ১০২ জন শিক্ষার্থী পুরস্কার নেন। দ্বিতীয় পর্বে পুরস্কার দেওয়া হয় ২৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই হাজার ৭৫ জন শিক্ষার্থীকে।
শনিবার বিকাল ৩টায় ঢাকার ৩১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই হাজার ১৭ জন শিক্ষার্থী অতিথিদের কাছ থেকে পুরস্কার নেবেন।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, অভিনেতা খায়রুল আলম সবুজ, নৌপরিবহন সচিব আবদুস সামাদ, দৈনিক প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক, গ্রামীণফোনের স্টেকহোল্ডার রিলেশনস কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক এস এম রায়হান রশীদ উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, যারা বই পড়ে পুরস্কার পাচ্ছে, তাদের মানসিক শক্তি অন্যদের তুলনায় অনেক উন্নত।
“সর্বোপরি বইগুলো পড়ে তোমরা অনেক মজা পাচ্ছ এবং তোমারদের সময় অনেক ভালো কাটছে। যারা জীবনের পুরোটা সময় আনন্দে কাটাতে পারে তারাই সেরা মানুষ আর এক মাত্র বই-ই পারে মানুষের জীবন আনন্দে ভরিয়ে তুলতে।”
প্রযুক্তি যেন শিক্ষার্থীদের গ্রাস করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দেন অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
তিনি বলেন, “তোমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করবে, কিন্তু প্রযুক্তি যেন তোমাদের ব্যবহার করতে না পারে। তোমাদের বন্ধুদের মধ্যে যারা বই পড়ে না, তাদের একটি মজার বই পড়ার জন্য উপহার দাও। দেখবে এইভাবে বই পড়ুয়াদের সংখ্যা বেড়ে যাবে।”