বৃহস্পতিবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এ সম্মাননার ঘোষণা দেওয়া হয়।
সমাবর্তনে থাকার কথা থাকলেও অসুস্থতার কারণে যেতে পারেননি অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।
পদক পাওয়ার বিষয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “পুরস্কারটি আসলে অনেক প্রখ্যাত ব্যক্তিরা আগে পেয়েছেন। তাদের সঙ্গে আমার নামটি যুক্ত হওয়ায় আমি গর্বিত।”
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দুই বছর পর পর ‘জগত্তারিণী পদক’ দিয়ে থাকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।
বাঙালি শিক্ষাবিদ, গণিতজ্ঞ ও আইনবিদ ব্যারিস্টার স্যার আশুতোষ মুখার্জির মা জগত্তারিণী দেবীর নামে ১৯২১ সালে প্রবর্তিত এ সম্মাননা প্রথম পান কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। গত ৯৭ বছরে প্রমথ চৌধুরী, কাজী নজরুল ইসলাম, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়সহ বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন প্রথিতযশা লেখককে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এবার সম্মাননা পাওয়া অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের জন্ম ১৯৩৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায়। ভারত ভাগের পর তারা এপারে চলে আসেন।
শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট ডক্টরাল ডিগ্রিধারী এই শিক্ষাবিদ গবেষণা করেছেন বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস নিয়েও। গবেষণা গ্রন্থ রচনার পাশাপাশি অনুবাদ ও সম্পাদনার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করা অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের এই ভূখণ্ডে ধর্মান্ধতা ও মৌলবাদবিরোধী নানা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের এই ইমেরিটাস অধ্যাপক একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধেও অংশ নিয়েছেন।
বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া স্বাধীনতা পুরস্কারও পেয়েছেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।
এর আগে ২০১৪ সালে পেয়েছেন ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক খেতাব ‘পদ্মভূষণ’।
এছাড়া বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে কাজের জন্য ১৯৭০ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও ১৯৮৫ সালে একুশে পদক পান তিনি।