সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিকল্প হিসেবে নয়া পল্টনের করার অনুমতি চেয়ে পুলিশ ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
দশম সংসদ নির্বাচনের বছর পূর্তির দিনটি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে বিএনপি। নির্দলীয় সরকারের অধীনে না হওয়ায় ওই নির্বাচন বর্জন করেছিল দলটি।
এবার তারা দিনটিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চাইলেও সেখানে আরেকটি দল সমাবেশ করতে চায় বলে বিএনপিকে জানানো হয়েছে।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, “যদি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া না হয়, তাহলে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আগামী ৫ জানুয়ারি সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য আমরা আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা ইতোমধ্যে সিটি করপোরেশন ও পুলিশকে চিঠিও দিয়েছি।”
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে গত ১ জানুয়ারি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে চিঠি দেয় বিএনপি।
কিন্তু তা না পাওয়ার সমালোচনা করে রিজভী বলেন, “৫ জানুয়ারি নিয়ে সরকারের একটা গভীর নীলনকশা ও তামাশা আছে। সেই তামাশার প্রতিফলন দেখতে পেলাম যে একটা অখ্যাত পার্টিকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
“বিএনপির আবেদনকে পাশ কাটিয়ে অনেক আগেই অনুমিত অন্য দলকে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ যে বক্তব্য দিচ্ছে, সেটি সরকারের হীন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ। এটি তাদের হিংসাপরায়ন নীতির প্রতিফলন।”
“যদি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া না হয়, তাহলে ৫ জানুয়ারি নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হোক,” বলেন রিজভী।
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, কেন্দ্রীয় নেতা আজিজুল বারী হেলাল, দীপেন দেওয়ান, জাসাস সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম রিপন উপস্থিত ছিলেন।