মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছ থেকে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন খুলনার এই সংসদ সদস্য।
একই অনুষ্ঠানে নতুন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তা মোস্তাফা জব্বার এবং লক্ষ্মীপুরের সাংসদ এ কে এম শাহজাহান কামাল। এছাড়া রাজবাড়ীর এমপি কাজী কেরামত আলী শপথ নেন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে।
তাদের কে কোন দপ্তর পাচ্ছেন তার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে বুধবার। তবে নারায়ন চন্দ্র চন্দ আগের দপ্তরেই থাকছেন বলে আভাস মিলেছে তার কথায়।
শপথ নেওয়ার পর রাতে বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে গিয়ে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান নারায়ন চন্দ্র।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমরা মৎস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। অল্প দিনের মধ্যেই এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেব। প্রাণিসম্পদেও আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। মাংস উপাদন ৭ গুণ বেড়েছে। অতীতের এসব অর্জন ধরে রাখা এবং নতুন নতুন বিষয় সংযোজন করা হবে।”
২০১৪ সালের নির্বাচনে জিতে আওয়ামী লীগ টানা দ্বিতীয়বারের মত সরকার গঠন করলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর দায়িত্ব পান মুহাম্মদ ছায়েদুল হক, প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান নারায়ন চন্দ্র চন্দ। ছায়েদুল হকের মৃত্যুতে গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে এ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী পদটি শূন্য হয়।
খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার উলা গ্রামে ১৯৪৫ সালের ১২ মার্চ জন্ম নেওয়া নারায়ন চন্দ্র পড়ালেখা করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। ডুমুরিয়ার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তিনি শিক্ষকতা করেছেন দীর্ঘদিন।
ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের এই সাবেক সভাপতি ভাণ্ডাররপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেছেন।
খুলনার ডুমুরিয়া-ফুলতলা আসন থেকে তিনবার আওয়ামী লীগের টিকেটে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।