বাসে পেট্রোল বোমা: কুমিল্লায় খালেদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে তিন বছর আগে বাসে পেট্রোল বোমা মেরে আটজনকে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ‘পলাতক’ ৫৫ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

কুমিল্লা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Jan 2018, 09:05 AM
Updated : 2 Jan 2018, 09:05 AM

এ মামলায় ৭৮ জনকে আসামি করে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করে কুমিল্লার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম জয়নব বেগম মঙ্গলবার এই আদেশ দেন বলে পিপি মোস্তাফিজুর রহমান লিটন জানান।

তিনি বলেন, “আসামিদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনসহ ৫৫ জন আদালতে না আসায় তাদের গ্রেপ্তারের আদেশ দেন। অন্যদের মধ্যে খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা শওকত মাহমুদসহ ২০ জন হাজিরা দেওয়ায় বিচারক তাদের জামিন দেন।”

একই ঘটনায় বিস্ফোরক আইনের মামলাতেও গত ৯ অক্টোবর খালেদাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল কুমিল্লার আদালত।

দশম সংসদ নির্বাচনের বছরপূর্তিতে ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি সমাবেশ করতে বাধা পেয়ে দলীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধ অবস্থায় থেকে সারাদেশে লাগাতার অবরোধ ডাকেন খালেদা জিয়া।

সেই অবরোধের সঙ্গে হরতাল চলে টানা ৯০ দিন। ওই কর্মসূচিতে বহু গাড়ি পোড়ানো হয়, অগ্নিসংযোগ হয় বিভিন্ন স্থাপনায়। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায় শতাধিক মানুষ।

তখন নাশকতার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অসংখ্য মামলা করে। তার মধ্যে বেশ কয়েকটিতে খালেদাকে হুকুমের আসামি করা হয়; কুমিল্লার এই মামলা তারই একটি।

২০১৫ এর ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুরে কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী আইকন পরিবহনের একটি বাসে পেট্রোল বোমা হামলা হলে দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আটজনের।

চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই নুরুজ্জামান হাওলাদার পরদিন বিএনপি-জামায়াতের ৫৬ জনের নাম উল্লেখ করে, আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি দেখিয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা করেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সেখানে হুকুমের আসামি করা হয়।

তদন্ত শেষে বিস্ফোরক আইনে ও হত্যার অভিযোগে আলাদা দুটি অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এর মধ্যে হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে মোট ৭৮ জনকে আসামি করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ফিরোজ আহমেদ।

সেই অভিযোগপত্র আমলে নিয়েই আদালত মঙ্গলবার খালেদা জিয়াসহ অনুপস্থিত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

এ মামলার আসামিদের মধ্যে কুমিল্লা-২ (হোমনা) আসনের সাবেক এমপি এম কে আনোয়ারসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে পিপি লিটন জানান।