‘গুরুতর’ অসুস্থ হয়ে পড়ায় বুধবার তাকে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে নেওয়ার পর অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় শুক্রবার রাতে হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোঅ্যানট্রিওলজি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোঅ্যানট্রিওলজি বিভাগে চিকিৎসক ডা. স্বপ্নিলের অধীনে এই মুক্তিযোদ্ধাকে ভর্তি করা হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান তার ছেলে কারু তিতাস।
সত্তর বছর বয়সী মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে জানাতে গিয়ে কারু তিতাস বলেন, “গ্যাস্ট্রোঅ্যানট্রিওলজিতে মাকে ভর্তি করা হয়েছে টেকনিক্যাল কারণে। এমনিতে মায়ের হার্টের অবস্থা খুব ভালো যাচ্ছে না। কিডনির জটিলতা তো রয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় অবজারভেশনের পর মায়ের সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে চিকিৎসকরা আমাদের জানাবেন।”
এর আগে চলতি বছর নভেম্বর মাসে নিজের বাসায় বাথরুমে পড়ে গোড়ালিতে চোট পান ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী। গোড়ালির একটি হাড় স্থানচ্যুত হওয়ায় ১৩ ডিসেম্বর সেখানে অস্ত্রোপচারের পর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে হয় এই মুক্তিযোদ্ধাকে।
পরে গত বুধবার ফের ‘গুরুতর’ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ফের ল্যাব এইড হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
১৯৪৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি খুলনায় ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর জন্ম। ১৯৭১ সালে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হন।
মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীনতা-বিরোধীদের বিচারের দাবিতে তিনি সবসময়ই ছিলেন সোচ্চার। একাত্তরে নির্যাতিতা নারীদের ‘মুক্তিযোদ্ধা’ খেতাব প্রদানের দাবিও জানিয়েছিলেন তিনি।
স্বাধীনতা যুদ্ধে তার অবদানের জন্য ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে মুক্তিযোদ্ধা খেতাব দেয়। এর আগে ২০১০ সালে তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান স্বাধীনতা পদক পান।
২০১৪ সালে একুশের বইমেলায় তার আত্মজৈবনিক গ্রন্থ ‘নিন্দিত নন্দন’ প্রকাশিত হয়।